বাংলাদেশের পক্ষে তাওহীদ হৃদয় একাই যেন খেলে যাচ্ছেন। তার নামের পাশে রান ও স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনুযায়ী মানানসই। তেমনই এক মানানসই ইনিংস খেলে গেলেন হৃদয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ইনিংসটিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় মহা গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংসও বলা যেতে পারে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন অবধি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তাওহীদ হৃদয়। তার থেকেও বড় বিষয় তিনি প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই তার অবদান যেন স্পষ্ট। সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নিমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে হৃদয় উইকেট এলেন পাঁচ নম্বর ব্যাটার হিসেবে।
এদিন একটা গ্যাম্বেল করেছিল বাংলাদেশ। মাঝের ওভারগুলোতে অজিদের স্পিনাররা যখন আক্রমণে, ঠিক তখন রিশাদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চার নম্বর ব্যাটার হিসেবে। পরিকল্পনা ছিল সেই ওভারগুলোতে দ্রুত কিছু রান তুলে নেওয়া। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। রিশাদ ফিরে গেছেন দ্রুতই। স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই উইকেটের পতনে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তেমন এক পরিস্থিতিতে হৃদয় এসেছিলন ব্যাট হাতে। এসে দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলে গেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। মাত্র ২৮ বলে ৪০ রানের এক কার্যকর ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংস খেলার পথে ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন হৃদয়। প্রায় ১৪৩ স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসটি অজিদেরকে খানিক পীড়া দিয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় হৃদয়ের এই ইনিংসটি বাংলাদেশকে দিয়েছে খানিকটা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ। তার খেলা ইনিংসটিই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ভদ্রস্থ একটা সংগ্রহ। কেননা তিনি উইকেটে আসার পর দ্রুততম সময়ের মাঝে ফিরে যান হাল ধরে রাখা নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি হৃদয়কে। শেখ মেহেদী তো ছিলেন মাত্র এক বলের সঙ্গী। তবুও হৃদয় দাঁড়িয়ে থেকেছেন। দলের জন্যের যতটা সম্ভব রান সংগ্রহ করবার চেষ্টা করেছেন। খোলসবন্দী হয়ে যাননি। আউট হওয়া বলেও বাউন্ডারি আদায় করতে গিয়েছেন।