পরিসংখ্যান বলছে এবারের বিশ্বকাপে আফগানদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে তাঁদের উদ্বোধনী জুটি। নিউজিল্যান্ড, উগান্ডার বিপক্ষে রহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইব্রাহীম জাদরান তো নেমেই করেছিলেন শত রানের জুটি। সুপার এইটের পর্বেও আফগানরা বজায় রাখলেন সেই ধারা; উদ্বোধনী জুটি থেকে শুরুতেই পেয়েছে ১১৮ রানের এক কার্যকর জুটি।
তবে আফগানদের বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়, সেটা তাঁদের মিডল অর্ডারে। শুরুটা দুর্দান্ত হলেও মাঝ পথে তাঁদের রানের চাকা যেন থমকে যায়। আর একারণেই বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করানোর সম্ভবনা জাগিয়েও মোটামুটি কোনো সংগ্রহ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁদের।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আর উগান্ডার বিপক্ষে গুরবাজ আর ইব্রাহীম জাদরান গড়েন যথাক্রমে ১০৩ ও ১৫৪ রানের জুটি। তবে তারপর আর দীর্ঘ হয়নি আফগানিস্তানের ইনিংস। বালির পাহাড়ের মত ভেঙ্গে যায় আফগান মেরুদন্ড।
মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একে একে বিলিয়ে দিতে থাকে নিজেদের উইকেট। ব্যতিক্রম ঘটেনি শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। ওপেনিং ব্যাটাররা ১১৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায়, যেখানে চলমান বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে যাওয়া গুরবাজ ৬০ রানের আউট হলে সেই জুটিতে ফাটল ধরে।
তবে তাঁদের গড়ে দেয়া এই পার্টনারশীপের দলের বাকি ব্যাটার মিলে সেটাকে ১৪৮ রানে পরিণত করতে পেরেছে। ওপেনিং জুটির পতনের পর স্রেফ ৩০টি রানই যোগ করতে পেরেছে আফগান মিডেল অর্ডার। ২২ গজে তখন মোহাম্মদ নবী, রশীদ খানরা আসা যাওয়াতেই ব্যস্ত ছিলেন।
তাই বোঝাই যাচ্ছে উদ্বোধনী জুটি আফগান শিবিরে প্রশান্তির হাওয়া বয়ে আনলেও, তাঁদের মিডল অর্ডার যেন দুঃসময়ের কারণ। মিডল অর্ডারের এই নড়বড়ে অবস্থানই আফগাদের পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বেশির ভাগ সময়।