আফগানিস্তানের সেরা খেলোয়াড় যে তাঁদের অধিনায়ক রশিদ খান সে বিষয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা না । বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারও তারই নিদর্শন দেখালেন তিনি। বল ও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার সাথে অধিনায়ক হিসেবেও তিনি ছিলেন দূর্দান্ত।
সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি জয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না আফগানিস্তানের। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮ তম ওভারে মাত্র ৯৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এসময় সাত নাম্বরে ব্যাট করতে আসে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
মাত্র ১০ বল মোকাবিলা করে তিন ছক্কার সাহায্যে ১৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। রশিদের ইনিংসের কল্যাণেই ১১৫ রানে পৌছায় আফগানিস্তানের ইনিংস। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ভাগ্য গড়ে দিয়েছে রশিদের ওই তিন ছক্কাই।
ফলে ১২.১ ওভারে ১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কারণ সেমিফাইনালে পৌছাতে হলে তাঁদের ৪৭ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি শেষ করতে হত। তবে আফগানিস্তানের লক্ষ্য ছিল শুধুই জয়। ৬ ওভার শেষে ৪৬ রান তুলে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটছিল বাংলাদেশ দল। তখনই নিজেকে অবির্ভূত করেন অধিনায়ক রশিদ খান।
প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন তিনি। সৌম্য সরকারের স্ট্যাম্পে সরাসরি আঘাত হানেন রশিদ। দ্বিতীয় ওভারে এসে আবারও উইকেট পান রশিদ খান। এবার তাঁর শিকার তৌহিদ হৃদয়। বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের তালুবন্দি হন হৃদয়।
নিজের তৃতীয় ওভারে এসে ম্যাচের মোড় একদম আফগানিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেন আফগান অধিনায়ক। পরপর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদকে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ক্ষীণ করে দেন তিনি। মাত্র ৮০ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
ব্যাট ও বল হাতে দূর্দান্ত পারফরম্যান্সের সাথে সাথে অধিনায়কত্বেও অসাধারণ ছিলেন রশিদ খান। টুর্নামেন্টে দলের সেরা বোলরকে রেখে উইকেটের সন্ধানে ১৫তম ওভারে গুলবাদিন নাইবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন রশিদ খান। আর এসেই তামজিম সাকিবকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি।
আর ১৭তম ওভারে নাভিন উল হক দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাভিন। তবে, ব্যাটে-বলে অনন্য রশিদের হাতেই এই পুরস্কারটা সবচেয়ে বেশি মানায়। কিন্তু, ব্যক্তিগত অর্জন নয় – দলীয় অর্জনেই তিনি চোখ রাখেন বেশি।