হতাশাজনক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের পর জাতীয় দলের উন্নতির জন্য সাম্প্রতিক বোর্ড মিটিংয়ের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে দলের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাক্তন অনেক ক্রিকেটার একত্রিত হয়েছিল। তবে সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন না সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ।
৯ জুলাই লাহোরের মল রোডের একটি হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পিসিবি সভাপতি মহসিন নকভির সভাপতিত্বে, বৈঠকের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট কাঠামোর উন্নতি জন্য অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অন্তর্দৃষ্টি এবং পরামর্শগুলিকে কাজে লাগানো।
পনেরো জনেরও বেশি প্রাক্তন টেস্ট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিলেন সালমান বাট, ইজাজ আহমেদ, সরফরাজ আহমেদ, বাসিত আলী, ইন্তেখাব আলম, অসীম কামাল, মোহাম্মদ সামি, শফিক পাপা, ইয়াসির হামিদ, সেলিম আলতাফ, হারুন রশিদ, ইয়াসির শাহ, সিকান্দার বখত, ওয়াজাহাতুল্লাহ ওয়াস্তি এবং আজহার খান। দেশের ক্রিকেট কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা।
মিটিংয়ে সাম্প্রতিক আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের কম্বিনেশন এবং দল নির্বাচন নিয়ে একটি বড় সমস্যা উত্থাপিত হয়েছিল। উদ্বোধনী ব্যাটারদের আধিক্য এবং মিডিল অর্ডার ব্যাটারদের অভাবের কারণে ভারসাম্যহীনতার কথা তুলে ধরেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। দলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।
প্রাক্তন পিসিবি কর্মকর্তা আলিয়া রশিদ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ এ মোহাম্মদ হাফিজের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেছেন। হাফিজকে আমন্ত্রণ না করার জন্য বোর্ডের সমালোচনা করেছেন তিনি।
আলিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদ হাফিজ দলের ফিটনেস ও শৃঙ্খলার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি দলের পরিচালক হয়ে চেয়েছিলেন যে পাকিস্তান দল পেশাদারিত্বের আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করুক। তবে নতুন চেয়ারম্যান তাঁকে সমস্যা এবং তাঁর ধারণা নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি।’
এর জবাবে হাফিজ পিসিবিকে ব্যাঙ্গ করে বলেন, ‘আমরা এমন এক সমাজে বসবাস করি যেখানে আবদুল্লাহর কথা বোঝা যায়না তবে মিশেল ও টম সব সত্য কথা বলে।’