পেস ব্যাটারির চার্জ পাকিস্তানে থাকবে তো!

পেসারদের স্বর্গভূমিতে যাবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের পর আবারও দেশটিতে পা রাখবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে পেসারদের দাপটটা বরাবরই বেশি। বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। জবাবটা পেসারদের দিয়েই দিতে হবে বাংলাদেশকে। এখানেই মূলত চিন্তার উদ্রেক।

বাংলাদেশের পেসারদের উত্থান ঘটেছে বটে। কিন্তু পেসাররা ঠিক ততটাও স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাছাড়া সাদা পোশাকে পেসারদের উপর বেজায় ধকল যায়। বাংলাদেশের কতজন পেসার সেই ধকল সামলে নিজেদের কাজটা ধারাবাহিকভাবে করে যেতে পারেন, সে প্রশ্ন চলে আসে।

তাছাড়া এখনও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা আসেনি। কোন কোন পেসাররা যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেটাও নিশ্চিত নয়। গুঞ্জন উঠেছে তাসকিন আহমেদকে দেখা যেতে পারে আসন্ন টেস্ট সিরিজে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্য কাঁধের ইনজুরির শেষ পরিস্থিতি জানা গেলেই মিলবে গ্রিন সিগনাল।

তবে তর্কের খাতিরে তাসকিনকে ছাড়াই পেসারদের খসড়া তালিকা চাইলেই করা যায়। সেখানে অবধারিত নাম হিসেবে থাকতে পারেন খালেদ আহমেদ। লাল বল হাতে তিনি নিয়মিতই খেলছেন। এমনকি চট্টগ্রামে হওয়া বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পেও নিয়মিত বল করে যাচ্ছেন তিনি। সুতরাং তার স্কোয়াড ও একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

এরপর কারা থাকবেন? অন্তত তিনজন পেসারকে নিয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। স্পিনবিষে অন্তত কাবু করবার সুযোগ খুব একটা আসবে না। টাইগারদের পেস আক্রমণ দিয়েই পরীক্ষা নিতে হবে বাবর আজমদের। সেদিক থেকে শরিফুল ইসলামকে হয়ত দেখা যেতে পারে একাদশে। তিনি নিয়মিত খেলার মধ্যেই আছেন।

কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে তিনি সাদা বলে খেলে চলেছেন অবশ্য। কিন্তু পর্যাপ্ত সময় তিনি হয়ত পাবেন না। তবুও তাকে রাখা কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। বাঁ-হাতি পেসার বরাবরই বৈচিত্র্য বাড়ায়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের টেস্ট সেট আপে দ্বিতীয় কোন বাঁ-হাতি পেসার নেই। সেদিক থেকে ইনজুরি মুক্ত শরিফুলই সেরা পছন্দ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তৃতীয় পেসার হিসেবে কাকে দেখা যাবে? হাসান মাহমুদকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। শেষ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেছিলেন। শরিফুল ও হাসানকে একটি করে ম্যাচ খেলানো হয়েছিল ঘরের মাঠের সেই সিরিজে। তাদের সঙ্গে খালেদ ছিলেন ধ্রুব।

অতএব এই তিনজনই প্রাধান্য পেতে চলেছেন একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে। তবে স্কোয়াডে নিশ্চয়ই স্রেফ তিনজন পেসার থাকবেন না। রেজাউর রহমান রাজা পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুইটি চারদিনের ম্যাচে অংশ নেবেন। তার সাথে তানজিম হাসান সাকিবকেও রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। অতএব ধারণা করে নেওয়া যায় এই দুইজন থাকতে পারেন জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link