মেগা অকশন ও প্লেয়ার রিটেইনশন, বিভক্ত আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিরা

দুইভাগে বিভক্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কেউ কেউ চাইছেন মেগা নিলাম, কেউ আবার তার বিপক্ষে। অবশ্য বিপক্ষে থাকা ফ্রাঞ্চাইজির সংখ্যাই বেশি। এখন বাকি সিদ্ধান্ত বোর্ড ফর কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ও আইপিলের গভর্নিং বডির উপর ন্যাস্ত। পরিবর্তন হয়ত আসবে বেশ কিছু।

মূলত একটা দল গঠনের জন্য বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে। এছাড়াও কিছু কিছু ফ্রাঞ্চাইজি তাদের একাডেমির উন্নয়নেও মনোযোগ দিতে শুরু করেছে। তাছাড়া অধিকাংশ একাডেমি অপেক্ষাকৃত তরুণ খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় করে অর্থ, সময়।

এখন মেগা নিলামে হবে রদবদল। তাতে করে সেই তরুণ খেলোয়াড়রা হয়ে যেতে পারেন হাতছাড়া। সেটা চাইছে না অধিকাংশ ফ্রাঞ্চাইজি। তারা চাইছেন আসন্ন আসরকে উপলক্ষ করে হওয়া মেগা নিলাম পেছানো হোক। এই বক্তব্য সর্বপ্রথম তুলে ধরেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্রাঞ্চাইজির সত্ত্বাধিকারী শাহরুখ খান। এরপরই এক এক করে অধিকাংশ ফ্রাঞ্চাইজি যুক্ত হয় একই দাবিতে।

মূলত কলকাতা বেশ দোলাচলের মধ্যে আছে। কেননা তারা হার্শিত রানা, রিঙ্কু সিংদের মত খেলোয়াড়দের পেছনে বিনিয়োগ করেছে। আসছে নিলামে তারা অন্যদলে যুক্ত হলে কলকাতার ক্ষতি হবে চরম পর্যায়ে। তাছাড়া ‘রিটেইন’ করা খেলোয়াড়দের নিয়েও বিপাকে পড়তে হবে অধিকাংশ দলের। কেননা প্রায় প্রতিটা দলই চাইছে নিজের তরুণ ও মূল খেলোয়াড়দের সংমিশ্রণ যাতে হাতছাড়া না হয়।

কলকাতার পাশাপাশি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও মিনি অকশনের পক্ষে মত দিয়েছে। তাদেরও ধারণা প্রায় একই রকম। একই ধারণার সাথে সম্পৃক্ততা পোষণ করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস।

যদিও চেন্নাই অনেক বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে থাকে। তবুও বিগত সময়ে তারা সামির রিজভি, রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকারদের মত খেলোয়াড়দের পেছনে বিনিয়োগ করেছে। সুতরাং তারাও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মেগা নিলামের ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।

কিন্তু এই মতামতের বিপরীতেও মত রয়েছে। যেমন পাঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের মত দলগুলো চাইছে মেগা নিলাম। তারা মনে করেন তাতে করে দলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য আসবে। আইপিএলের প্রতিযোগিতা বাড়বে।

মূলত এই দলগুলর কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া তাদের ‘কোর’ খেলোয়াড়দের তালিকাও ততটা শক্তিশালী নয়। ঠিক সে কারণেই তারা মেগা নিলামের পক্ষে মত জানিয়েছেন। এখন বাকি সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং বডি।

২০১৮ ও ২০২২ সালে মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই মেগা নিলাম যেন অন্তত বছর পাঁচেক পর পর হয়, তেমন প্রস্তাব রেখেছে কলকাতা ও একই ভাবনার ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। এখন দেখবার পালা আইপিএলের কপালে ঠিক রয়েছে। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও ঠিক ঘটতে চলেছে। এই পরিবর্তন ছাড়াও বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে আগামী আইপিএল মৌসুমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link