ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের পর এবার ফিক্সিংয়ের কালো থাবা পড়েছে আফগানিস্তানের উপর। কাবুল প্রিমিয়ার লিগে (কেপিএল) অন্তত চারজন বিভিন্নভাবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অ্যান্টি-কোরাপশন কোড ভঙ্গ করেছেন। এদের মধ্যে ইহসানউল্লাহ জানাত ইতোমধ্যে দোষী প্রমাণ হয়েছেন।
এই ব্যাটার ২০২৪ সালের কেপিএল আসরে ফিক্সিং করেছিলেন, সেজন্য প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য সকল ধরণের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
এ ব্যাপারে এসিবির প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইসিসির অ্যান্টি কোরাপশন কোডের ২.১.১ ধারাতে বলা হয়েছে ম্যাচের ফলাফল বা সাময়িক ম্যাচ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য অগ্রহণযোগ্য উপায়ে কোনরূপ চেষ্টা করা যাবে না। জানাত উক্ত ধারা ভঙ্গ করেছে এবং সেই সাপেক্ষে তাঁকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হল।’
শামসাদ ঈগলসের হয়ে এই ডান-হাতি খেলেছিলেন কেপিএলের সবশেষ মৌসুমে। ব্যাট হাতে সে বার চার ইনিংস খেলে করেছেন মাত্র ৭২ রান, তাঁর দলও ভাল করতে পারেনি। ছয় দলের টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ষষ্ঠ হয়ে।
অন্যদিকে, এসিবির অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিট আরও জানায়, তাঁরা বাকি তিনজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় এখনি তাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তবে শীঘ্রই তদন্তের ফলাফল জানা যাবে। একই সাথে দোষী প্রমাণ হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আফগানিস্তানের প্রথম দিকের তারকা নওরোজ মঙ্গলের ভাই ইহসানউল্লাহ নিজেও দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন। ২০১৭ সালে ওয়ানডে ফরম্যাট দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পথ চলা শুরু হয় তাঁর। যদিও আফগান জার্সিতে আহামরি ভাল করতে পারেননি, ২০২২ সালের পর থেকেই তাই দলের বাইরে তিনি। সেই হতাশা থেকেই হয়তো বিপথগামী হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।