চলতি শতকের সবচেয়ে উত্তাল সময় পার করছে বাংলাদেশ। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান থাকার পর সদ্য সাবেক প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে পা রেখেছে। এরই সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে, যার ফলে নিরাপত্তা নিয়েও ঝুঁকি বেড়েছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাঙ্গনেও উত্তাপ লেগেছে বটে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে, ক্রিকেটাররাও লম্বা সময় ধরে অনুশীলন থেকে বিরত আছেন। অথচ ক’দিন পরেই পাকিস্তান আর ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি টেস্ট সিরিজ খেলবে টিম টাইগার্স।
চলতি আগস্ট মাসেই পাকিস্তান সফরের সূচি নির্ধারিত হয়েছে; এর পরের মাসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিমান ধরবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে দল পাঠানো নিয়ে বিপাকেই পড়েছে বিসিবি; ক্রিকেটারদের একত্রিত করা, সিরিজের পূর্ব প্রস্তুতি কোন কিছুই সম্ভব হচ্ছে না এই মুহূর্তে। এমনকি বিমানবন্দরেও প্রতিনিয়ত ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে, আবার ভারতীয় দূতাবাস আপাতত তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
তাহলে কি হবে এই দুইটি সিরিজের ভাগ্য? মাঠে গড়াবে নাকি বাতিল হবে? যদি বাতিল হয় তাহলে কি ঘটবে – এমন সব প্রশ্ন জেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ মূলত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই কোন দেশ সিরিজ বাতিল করলে বা না খেলতে পারলে প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াক ওভার’ দিতে হয়। অর্থাৎ সিরিজের পূর্ণ পয়েন্ট যোগ হবে তাঁদের নামের পাশে।
টাইগার বাহিনী পাকিস্তান সফরে যেতে না পারলে পাকিস্তানের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেকটাই। অন্যদিকে, ভারত তাঁদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করতে সক্ষম হবে। যদিও বিসিবি দল পাঠাতে বদ্ধপরিকর, ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে তাঁরা।