ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পরবর্তী আসর নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না। ২০২৫ সাল থেকে আইপিএলের রূপরেখা কেমন হবে সেটা এখনো ঠিক করতে পারেনি বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এরই মধ্যে আবার টুর্নামেন্টের ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ এক আসরের ম্যাচ সংখ্যা ৭৪ থেকে ৮৪ করা হবে।
এই প্রস্তাবেও অবশ্য সরাসরি হ্যাঁ বা না বলতে পারছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। ম্যাচের সংখ্যা বাড়ালে টুর্নামেন্টের স্থায়িত আরও অন্তত এক সপ্তাহ বৃদ্ধি পাবে। একদিকে সেটা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বটে কিন্তু ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোডের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ ব্যাপারে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেন, ‘২০২৫ আইপিএলে ৮৪ ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, কেননা ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোডের দিকটাও ভাবতে হচ্ছে। টুর্নামেন্ট ৭৪ ম্যাচ নাকি ৮৪ ম্যাচে হবে সেটা বিসিসিআই ঠিক করবে।’
মূলত ফ্রাঞ্চাইজিগুলো বাড়তি ম্যাচ রাখার আবদার জানিয়েছে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন। কিন্তু সেখানে আবার আপত্তি জানিয়েছে টিভি রাইটসের মালিক স্টার ইন্ডিয়া এবং ডিজিটাল রাইটসের মালিক ভায়াকম। তাঁদের মতে, আইপিএলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে দর্শকদের মাঝে ক্লান্তি সৃষ্টি হবে। ফলে জনপ্রিয়তা কমতে পারে এটির।
মেগা নিলাম এবং এর প্রক্রিয়া নিয়েও তুমুল আলোচনা চলমান আছে বোর্ড এবং ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে। কতজন ক্রিকেটারকে রিটেইন করা যাবে কিংবা বাজেট কত হবে সেসব নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি নিলাম কি পরিসরে হবে সেটাও নিশ্চিত নয়।
এ ব্যাপারে জয় শাহ বলেন, ‘কিছু দল শক্তিশালী দল গড়তে চায়, তাঁরা মেগা নিলামে আগ্রহী। আবার বাকি দলগুলো নিজেদের স্কোয়াড একই রাখতে চায় – ধারাবাহিকতা এবং পরিবর্তন দুটোই প্রয়োজন। আমরা আপাতত নিরপেক্ষ সমাধান খুঁজছি।’