মুশফিক বরাবরই আস্থার স্তম্ভ

নূন্যতম লিড নেওয়ার প্রচেষ্টাই তিনি হয়ত চালাবেন চতুর্থ দিনের সকালে।

মুশফিকুর রহিম আস্থাভাজন। তার উপর ভরসা করা যায়। সেই ভরসার প্রতিদান আরও একবার দিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশকে সন্তোষজনক একটা অবস্থানে রেখেছে তার ব্যাট। এই চিত্র অবশ্য ভীষণ ধারাবাহিক।

২০২১ সালের পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় দিনে ফিফটি তুলে নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২০২১ পরবর্তী সময়ে এটি মুশফিকের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি।

মুশফিক চিরায়ত ভঙ্গিমায় পাকিস্তানি পেসারদের সামলে গেছেন। পার্টটাইম স্পিনারদের বিপক্ষে নিজের পছন্দের সুইপ শটও খেলেছেন। প্রতিপক্ষ বোলারদের খুব সহজেই তার উইকেট তুলে নিতে দেননি। একদফা তো রিভিউয়ের কল্যাণে বেঁচেও গেছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার।

ব্যাটার হিসেবে এক প্রকার দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন মুশফিক। তিনি তাই চেষ্টা করেছেন দ্বিতীয়বার পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে। পাকিস্তানি পেসারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন মুশফিক। বাহারি সব শটের পসরা নিয়ে তিনি বাইশ গজে নামেননি। বরং বেসিক ঠিক রেখে, ক্রিকেটের ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং করবার চেষ্টা করেছেন পুরোটা সময়জুড়ে।

নিতান্তই সাধারণ কাজটা তিনি করে গেছেন ১২২ বল ধরে। তাতে করে অবশ্য তার নামের পাশেও যুক্ত হয়েছে রান। দিনশেষে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন মুশফিক। দলের ব্যাটিং অর্ডারকে ধরে রাখার কাজটা যথাযথভাবেই করে গেছেন ডান-হাতি এই ব্যাটার।

এই কাজে অবশ্য মুশফিক সিদ্ধহস্ত। ধারাবাহিকভাবেই তিনি দলের মিডল অর্ডারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। গেল বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে অর্ধশত রান যুক্ত করলেন। এখানেই থামতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। তৃতীয় দিন শেষে এখনও যে ১৩২ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

নূন্যতম লিড নেওয়ার প্রচেষ্টাই তিনি হয়ত চালাবেন চতুর্থ দিনের সকালে। তেমনটি করতে পারলে হয়ত, পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ড্র করবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও হতে পারে।

Share via
Copy link