ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ‘অসম্ভব’ ক্যাচ, মানুষ নাকি এলিয়েন?

শুধু পুরানকে নয়, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন এদিন আউট করেছেন দুই সেট ব্যাটার আন্দ্রেস গাউস আর সাককিরি পেরিসকেও। এছাড়া ব্যাট হাতে মাত্র ১১ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

আপনি খোঁজ রাখেন আর না রাখেন, ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ঘটছে অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড। ব্যাট হাতে একের পর এক ম্যাচে ঝড় তুলছেন ব্যাটাররা। তবে এবার ফিল্ডার হিসেবেই শিরোনাম দখল করলেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন, রীতিমতো স্তব্ধ করে দিলেন পুরো গ্যালারিকে।

প্রথমে গোলরক্ষকের স্টাইলে বল থামিয়েছিলেন, এরপর চোখের পলকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ক্যাচ তালু-বন্দি করেছেন তিনি। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস বনাম ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ম্যাচের তখন দ্বিতীয় ইনিংস চলমান, মাত্রই উইকেটে এসেছেন ইনফর্ম নিকোলাস পুরান।

তাঁকে ইয়র্কার দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন অ্যালেন, কিন্তু বলটা পিচ করে স্লটে। নিজেকে আর আটকাতে পারেননি পুরান, সজোরে খেলেছেন শট। তীব্র গতিতে ফ্ল্যাট হয়েই সেটা উড়াল দিয়েছিল স্ট্রেইট বাউন্ডারির দিকে।

কিন্তু, ক্যামেরা ঘোরানোর আগেই বাজপাখির মত লাফ দিয়ে সেটা থামিয়ে দেন ক্যারিবীয় স্পিনাররা। তারপর তাঁর শরীর মাটিতে গড়িয়ে পড়লেও মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে সামলে ক্যাচ ধরার কাজটা পূর্ণ করেন তিনি।

মাত্র ২২ গজ দূরে থাকা পুরান তখন বিস্মিত, এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে কি ঘটে গেল সেটা তখনো তাঁর মস্তিষ্ক বোধহয় বুঝে উঠতে পারেনি। মাঠের বাকি ফিল্ডাররাও তখন নিশ্চিত ছিল না চোখের সামনে ঠিক কি দেখেছে তাঁরা। তবে অ্যালেন দৌড় শুরু করতেই নিরবতা ভাঙে, সবাই এসে যোগ দেয় উদযাপনে।

ক্যাচ ম্যাচ জেতায় – প্রবাদটা সত্য প্রমাণ করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। ইনফর্ম পুরান শূন্য রানে আউট না হলে জয় অবশ্য এত সহজে আসতো না, এমনকি হেরে গেলেও যেতে পারতো।

শুধু পুরানকে নয়, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন এদিন আউট করেছেন দুই সেট ব্যাটার আন্দ্রেস গাউস আর সাককিরি পেরিসকেও। এছাড়া ব্যাট হাতে মাত্র ১১ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

Share via
Copy link