একটা গুরুতর বিতর্ক মাথায় নিয়ে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন নাসুম আহমেদ। তার গায়ে হাত তুলেছিলেন হেড কোচ চান্ডিকা হাতুরুসিংহে। হাতুরু এখনও বাংলাদেশের হেড কোচ। এমন পরিস্থিতিতে আবারও জাতীয় দলের ক্যাম্পে নাসুমকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তা যেন নতুন মোড়কে পুরনো প্রশ্নকে সামনে আনছে।
তবে সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটা এখন বড্ড অমূলক। বরং অন্য এক প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হতে পারে প্রাসঙ্গিক। কেন হুট করেই আবার জাতীয় দলের আশেপাশে দেখা যাচ্ছে নাসুমকে? যদিও হাই পারফরমেন্স ইউনিটের সাথে অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। সামনে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। সেই স্কোয়াডে হয়ত দেখা যেতে পারে নাসুমকে।
যদিও নাসুম আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে প্রমাণের খুব একটা সুযোগ পাননি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এক প্রকার নির্বাসনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে নাসুমের পক্ষে কথা বলছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তার পরিসংখ্যান। উইকেটশিকারি বোলার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ নাসুম আহমেদ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথেষ্ট সমীহ আদায় করেছেন তিনি।
বাঁ-হাতি এই স্পিনার ৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৩৪টি ইনিংসে হাত ঘুরিয়েছেন নাসুম। এই সময়ে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৩৪টি উইকেট। ৭ এর একটু বেশি ইকোনমি রেটে বোলিং করেছেন তিনি রঙিন পোশাকে। যদিও তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
স্পিন সহায়ক উইকেট না হলে তার বোলিংয়ের ঝলক খুব একটা দেখা মেলে না। এই কথার সত্যতা পাওয়া যায় নাসুমের পরিসংখ্যানে। বাংলাদেশের মাটিতে ২০ ম্যাচে ২২ উইকেট বাগিয়েছেন তিনি। এখানে তার ইকোনমি রেট কাটায় কাটায় ৬। কিন্তু ভিনদেশের কন্ডিশনে উইকেট শিকারে যেন খানিক ভাটা পড়েছে তার। লাইন লেন্থেরও হয় বেহাল দশা।
তাতে করে অতিরিক্ত রান হজম করতে হয় তাকে। যেহেতু ভারতের মাটি স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে, সেহেতু তাকে অন্তর্ভুক্ত করাটা যুক্তিসংগত। তাছাড়া সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি দলে আরও একজন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রয়োজন হতে পারে বাংলাদেশের। সাদা বলের ক্রিকেটে তাইজুল ইসলাম নিজেকে মেলে ধরবার সুযোগ খুব একটা পাননি। বাকিরা এখনও পরীক্ষিত নন।
সেদিক বিবেচনায় নাসুম আদর্শ বিকল্প। ঠিক সে কারণেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক এসেছে তার। তবে ভারত গামী টি-টোয়েন্টি দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত নয়। যেহেতু পূর্বে এক অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা রয়েছে নাসুমের, সেহেতু তিনি নিজে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়।