চ্যালেঞ্জিং উইকেটে জাতীয় ক্রিকেট লিগ

করোনা প্রকোপের কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের ঘরোয়া লিগ গুলো। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আয়োজন করলেও এখনো মাঠে গড়ায়নি নিয়মিত হওয়া লিগ গুলো। তবে এবার অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। আর জানা গেল, এবার দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রথম শ্রেণির আসরে উইকেটও আগের থেকে চ্যালেঞ্জিং হবে।

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হবে জাতীয় লিগ। এবারের জাতীয় লিগের নামকরণ করা হচ্ছে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। লিগ শুরুর আগে দল গুলোকে অনুশীলনের সুযোগ দিতে ১৮ সদস্যের স্কোয়াড ঠিক করে দিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন লিগ শুরুর আগেই করোনার টিকা দেওয়া হবে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দলগুলো তৈরি করতে অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা আটটা সিদ্বান্ত নিয়েছি বসে এবং মোটামুটি ১৮ জন করে দল তৈরি করে দিয়েছি। ২২ মার্চ জাতীয় লিগ শুরুর সম্ভাব্য সূচি নির্ধারণ করা আছে। তবে মাঠে গড়ানোর আগে ক্রিকেটারদের টিকা দিতে হবে। আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে রেখেছি। দলগুলো প্রায় প্রস্তুত করে দিয়েছি যেন অনুশীলন শুরু করে দিতে পারে।’

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ এবং এক এপ্রিল তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলার পর দেশে ফিরবেন মুশফিক-তামিমরা। দেশে ফিরেই ১২ এপ্রিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ।

প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন দেশে থাকা টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, সাইফ হাসান ও আবু জায়েদ রাহীরা জাতীয় লিগের দুই রাউন্ড খেলবেন এবং নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের চেস্টা করা হবে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে অন্তত এক রাউন্ড খেলানোর।

তিনি বলেন, ‘এখন টেস্ট দলের যে ক্রিকেটাররা দেশে আছে ওরা দুই রাউন্ড খেলতে পারবে। আমাদের তৃতীয় রাউন্ড শুরু হবে ৫ এপ্রিল থেকে। সেটা নিয়ে আলোচনা করছি। শ্রীলঙ্কায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাওয়ার আগে যদি একটা রাউন্ড খেলা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করব।’

জাতীয় লিগের মাঝপথে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হলেও নান্নু জানিয়েছেন প্রথম দুই রাউন্ডে যারা ভালো করবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বিবেচনা করা হবে তাদেরও। তবে প্রাধান্য দেওয়া হবে অভিজ্ঞতাকে। তিনি বলেন ‘টেস্ট ক্রিকেটটা এমন একটা খেলা যেখানে অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ। তবে এনসিএলে যারা ভালো করবে অবশ্যই বিবেচনায় আসবে।’

প্রতি বছরই ঘরোয়া লিগ শুরুর আগে আলোচনায় থাকে উইকেট; খারাপ উইকেটের কারণে অভিযোগ থাকে ক্রিকেটারদেরও। যেহেতু এক বছর কোন ঘরোয়া ক্রিকেট হয়নি তাই নান্নু আশাবাদী এবার ফ্রেশ ও চ্যালেঞ্জিং উইকেট পাবেন ক্রিকেটাররা। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন চারটি ভেন্যুর ভিতর অন্তত দুটি ভেন্যুতে এবার আলাদা আলাদা উইকেট থাকবে।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এক বছর কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট হয়নি, সব মাঠেই কিন্তু নতুন করে খেলা শুরু হচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা অবশ্যই ভালো উইকেট চাচ্ছি। আশা করছি যে ভালো উইকেট পাব। এটাই আশা করছি এনসিএলের চারটি ভেন্যু থেকে। আশা করছি অন্তত দুটো ভেন্যুতে দুই রকমের খেলা হবে। যেন একটা দল দুই ভেন্যুতে দুই রকম উইকেট পায়। সবাই যেন সব ধরনের উইকেটে অভ্যস্ত হয়। যেহেতু উইকেটগুলো একদম ফ্রেশ পাচ্ছি। আশা করছি চ্যালেঞ্জিং উইকেটই পাব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link