বিজয়ের ‘সবচেয়ে কষ্টের’ সময়

বন্দীজীবন যে কারো জন্যই কঠিন। তবে, ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। কারণ, সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের প্রায় প্রতিটা দিনই তো তারা মাঠে কাটান। করোনা ভাইরাসের কালে ক্রিকেটারদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে চারটি মাস। এই সময়টাকে জীবনের সময় বলে মানছেন ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে এসেছিলেন ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান। যেখানে সোমবার অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের আরো অনেক তারকা।

শুরুতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য মাত্র আট দিনের জন্য দৌঁড়ানো, জিম এবং ইন্ডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরে অবশ্য এটিকে আরো কিছুদিন বাড়ানোর ঘোষনা এসেছে।

করোনা কালে নিজের বাসায় নিয়মিত ফিটনেস ট্রনিংয়ে অংশ নেয়া এনামুল বাড়তি সময়ের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আউটডোর অনুশীলন শুরু করেছেন। সোমবার (২৭ জুলাই) প্রথম দিনের অনুশীলনের পর এই ওপেনার বলেন, ‘চার মাস পর আমি মিরপুরে অনুশীলনে ফিরলাম। সত্যি খুব ভাল লাগছে। ক্রিকেট থেকে এতটা দিন দূরে থাকাটা ছিল খুবই কস্টের। এ সময় আমরা ইনডোরেই ফিটনেস অনুশীলন করেছি। কিন্তু মিরপুরে অনুশীলন করাটা সব সময় বিশেষ কিছু।’

এর আগে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে অনুশীনের দৃশ্য নিজের সামাজিক মাধ্যমের চ্যানেলে প্রকাশ করেছিলেন এনামুল। এখন থেকে তিনি আউটডোরে অনুশীলন অব্যহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন। এমন উদ্যোগের জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এনামুল বলেন, ‘ঈদের আগে আমি এই অনুশীলন অব্যাহত রাখব। ঈদের ছুটির পরও চলবে আমার অনুশীলন। নিরাপদ পরিবেশে অনুশীলনের এই সুযোগ করে দেয়ায় আমি বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এই কর্মকান্ডে আমাদের সাহায্য করছেন তাদের।’

বিজয়-সহ মোট ১৪ জন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত এই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য আউট ডোর অনুশীলনকে নিরুৎসাহিত করছে বোর্ড। কারণ তা ঝুকিপুর্ন হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্রিকেটাররা আউটডোর অনুশীলনের জন্য মরিয়া।

পরে অবশ্য দেশের পাঁচটি ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃস্টি করা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে ক্রিকেটাররা। ভেন্যুগুলো ক্রিকেটারদের জন্য নিরাপদ করায় সন্তুস্ট হয়ে ঈদের ছুটির পর দলগত অনুশীলন শুরুর আহবান জানিয়েছেন সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link