এ দায় শুধু নিজেদের

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। গতি, সুইং, বাউন্স এবং শর্ট বলের তোপে কিউই বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ শেষে এমন হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তামিম মনে করেন সকালে ব্যাটিং করা কঠিন ছিলো। তবে নতুন বল সামলে নিয়ে দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের একজন বড় ইনিংস খেললেই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে যেতো। ব্যাটসম্যানদের দায়ী করে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন যত কঠিন পরিস্তিতিই হোক এরকম ব্যাটিং করার মতো দল বাংলাদেশ না।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন যে সকালে ব্যাটিং করাটা কঠিন ছিল। সিম হচ্ছিলো, সুইং হচ্ছিলো। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ডিসমিসাল গুলো যদি দেখেন, এখানে ৩-৪টা ডিসমিসাল খুবই সফট ছিল। যেগুলা আমরা আশা করি না। যেটা আমি বললাম, আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ব করি। ১৩০ রান করার মতো আমাদের দল না, যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেনো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরকম যদি একজন ক্যারি অন করতে পারে তাহলে বড় রান করা সম্ভব। ২৬০-২৭০-২৮০ সম্ভব। কিন্তু যদি টপ ফাইভ থেকে না করে এটা সব সময়ই কঠিন। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে যেহেতু এখানকার কন্ডিশন আমাদের ঘরের মাটি থেকে আলাদা। আমাদের জন্য এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ টপ ফাইভ থেকে একজন বড় রান করা।’

দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।ব্যাটসম্যানদের ভুলেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। তামিম ইকবাল জানিয়েছেন এই কন্ডিশনে ম্যাচ জয়ের জন্য অন্তত ২৭০-২৮০ রান অবশ্যই করতে হবে। ২০০ এর নিচে রান করলে বোলারদের কিছুই করার থাকবে না।

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ভালো খেলিনি, ভুল শট নির্বাচন ছিল দেখেই ১৩০ রান করেছি। ম্যাচে যে ভুল আমরা করেছি, সেগুলো আমাদের সফট ডিসমিসাল ছিল। এগুলো যদি আমরা না পুনরাবৃত্তি করি আর এখানে যদি আমাদের ভালো কিছু করতে হয়, তাহলে কমপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে, বোলারদের ডিফেন্ড করার জন্য কিছু দিতে হলে। যদি আমরা এভাবে করে ১৩০ কিংবা ২০০ এর মধ্যে অল আউট হয়ে যাই তাহলে সত্যি কথা বোলারদের রান ডিফেন্ড করার কোনো কিছুই থাকবে না।’

এরকম হারের পরেও নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে দারুণ বোলিং করায় শেখ মেহেদী হাসানের প্রশংসা করেছেন তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে ২০ বলে ১৪ রান করার পর বল হাতে কোন উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন মেহেদী। এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু নেওয়ার থাকলে মেহেদীর বোলিংকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘নাহ, সত্যি কথা বলতে এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কোনো কিছুই নাই নেওয়ার। যদি আমার বলতেই হয় তাহলে মেহেদি যে ৫-৬ ওভারের স্পেল করেছে, ভালো বল করেছে। এছাড়া আমি কোনো কিছু দেখি না যে এখান থেকে নেওয়ার আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link