জুভেন্টাসের শেষ ম্যাচের একদম শেষ সময় থেকে শুরু করা যাক, রোনালদোর শটটা থামিয়ে দিয়েছেন বেনেভেন্তোর গোলরক্ষক লরেঞ্জো মোন্তিপো। ডিফ্লেক্ট হয়ে বল যখন দানিলোর পায়ে, সামান্য একটা ট্যাপ-ইন উড়িয়ে দিলেন আকাশে। সাথে সাথে ডাগ-আউটে উল্লাসে ফেটে পড়লেন ইনজাঘি। খেলোয়াড়ি জীবনে সতীর্থ পিরলোকে এভাবে হারাতে পারবেন এ হয়তো পাড় বেনেভেন্তো সমর্থকও ভাবতে পারেননি। কোনো কথা না বলে সরাসরি ডাগ-আউটে হাঁটা দিলেন রোনালদো।
এবার ম্যাচের একদম শুরুর ঘটনায় আসা যাক। গত ম্যাচেই রেকর্ডবুকে তাণ্ডব চালিয়েছেন রোনালদো। অফিসিয়াল গোলের হিসেবে জোসেফ বাইকান, পেলে দুজনকেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন রোনালদো। এই অর্জন তো উদযাপনের বিষয়ই। জুভেন্টাসও উদযাপন করেছে, রোনালদোকে একটা জার্সি উপহার দিয়ে, যাতে লেখা ছিল ‘G.O.A.T’ আর নাম্বার ছিল ‘৭৭০’।
দুটো ঘটনার মধ্যে পার্থক্যটা একটু বলেন তো? স্বাভাবিকভাবেই এক ম্যাচের দুই দিক দিয়ে সবটা বিচার করা সম্ভব না। কিন্তু রোনালদো আর জুভেন্টাসের মধ্যে যা হচ্ছে তা এই দুই ঘটনা থেকেই বুঝে নেওয়া সম্ভব। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এখন পেন্ডূলামের মতন ঝুলছে, এই উষ্ণ তো এই শীতল। কিন্তু তাদের সম্পর্ক আসলে কোন দিকে এগুচ্ছে?
২০১৮ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ছিল সেদিন। ফুটবল বিশ্ব যখন বিশ্বকাপ ফাইনাল কে খেলবে এ নিয়ে উৎসুক হওয়ার কথা, তখনই মিডিয়া কাঁপিয়ে ফেলেছিলেন রোনালদো। মিডিয়াজুড়ে হই হই পরে গিয়েছিল তার ট্রান্সফারের পাকা খবর দেওয়ার জন্যে। গত দশকের সেরা খেলোয়াড়, কিছুদিন আগেই রিয়ালকে থ্রি-পিট জেতানো রোনালদো এভাবে বিদায় নিবেন, তা হয়তো কেউই আশা করেননি। জিদানের বিদায়ের পর অবশ্য হালকা-পাতলা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল কিন্তু সেমি-ফাইনালের আগে আগে একদম নিশ্চিত করে দিয়েছিল এই বিদায় ঘন্টা।
জুভেন্টাস আর রোনালদোর চুক্তিটা সাদা চোখে ছিল একদম সাধারণ। রোনালদোর ঝুলিতে ৫ টি চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর জুভেন্টাস গত ৫ বছরে দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌছেও পা হড়কিয়েছে বার্সা-রিয়ালের কাছে। এই শতাব্দীতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ভাগ্যে জুভেন্টাসের কপাল আজীবনই পোড়া। সেজন্য দরকার এক পরশপাথরের। সে পরশপাথরই ছিলেন রোনালদো।
রোনালদোও অখুশি ছিলেন না, বিশেষ করে জুভেন্টাসের মাটিতে খেলে। তুরিনে যেবার দর্শকদের হাঁ করিয়ে দেওয়া এক ‘বাইসাইকেল কিক’ করলেন, তখন তাদের কাছ থেকে পাওয়া তালিতেই মন ভরেছিল রোনালদোর। রোনালদোও ভেবেছিলেন গেন্তোর ছয় চ্যাম্পিয়নস লিগ আর সিডর্ফের তিন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাকে টেক্কা দিবেন ‘ওল্ড লেডিস’দের হয়ে।
ফাস্ট ফরোয়ার্ড টু ২০২১, চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় পর্ব থেকেই বাদ জুভেন্টাস। এমনকি গত এক দশক ধরে নিজেদের সিরি-আ রাজত্ব্যেও চিড় ধরতে শুরু হয়েছে। জুভেন্টাসের সিরি-আ স্বপ্ন এখনও বেঁচে আছে কাগজে-কলমে। বাস্তবে ইন্টার মিলানকে টেক্কা দিয়ে সামনে এগোনো একপ্রকার অসম্ভবই। কাগজে-কলমে রোনালদো এখনও তার যৌবনে। খেলে যাচ্ছেন তার সর্বোচ্চটা দিয়ে। আগের ম্যাচেই যেমন ক্যালিয়ারির বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। ফুটবলের ভাষায় পারফেক্ট হ্যাটট্রিক; বাম পা, ডান পা, হেডার। তবু তাদের দুজনের পথ দুদিকে চলে যাওয়ার কারণ কী?
রোনালদো আর জুভেন্টাসের সময়কালকে একটা সমীকরণে ফেলা যাক। জুভেন্টাসে যখন রোনালদো ভিড়লেন, তার জায়গা পাকা হলো নম্বর নাইন হিসেবে। নিজেকে লেফট উইং থেকে সরিয়ে একেবারে পাকাপাকি স্ট্রাইকার বা সিএফ বানানোর কাজে লেগে পরলেন রোনালদো। আগের মৌসুমে দলে থাকা হিগুয়েনকেও ছেড়ে দেয় জুভেন্টাস। স্ট্রাইকার বলতে একমাত্র থাকেন মানজুকিচ।
সেসময় রোনালদোদের দায়িত্বে ছিলেন ম্যাসিমিলানো অ্যালেগ্রি। কোচ হিসেবে ইতালির ভেতরে বাইরে বেশ সুনাম রয়েছে তার। তার অধীনেই সিরি-আ তে রাজত্ব্য শুরু করেছিল জুভেন্টাস, দুইবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালিস্টও তিনি। কিন্তু মৌসুম শেষে টানা পাঁচ সিরি-আ জিতে জুভেন্টাস ছাড়েন অ্যালেগ্রি। বলতে গেলে রোনালদো জুভেন্টাস ডাউনফলের সূচনা এখান থেকেই। অ্যালেগ্রির অধীনে রোনালদো যতটুকু শাইন করেছেন, ঠিক ততটুকুই শাইন করতে ব্যর্থ অন্য কোচেদের অধীনে।
রোনালদোদের পরবর্তী কোচ হয়ে আসেন চেলসি থেকে বরখাস্ত হয়ে আসা মাউরিৎজিও সারি। চল্লিশ পর্যন্ত ব্যাংকার থাকা সারি ফুটবলে এসেছিলেন প্যাশন থেকে। সেখান থেকে আস্তে আস্তে শিখড়ে উঠেছেন তিনি। জুভেন্টাসের আগে যার বড় দল বলতে একমাত্র ম্যানেজ করার রেকর্ড ছিল চেলসিকে। যদিও নাপোলিতে থাকাকালীন সময়ে বেশ ভালো রেকর্ড ছিল তার, তবুও সেই নাপোলি দলে তথাকথিত বিগ স্টার ছিল না।
সত্যি বলতে সারি প্রথমে এসেই নিজের টিপিক্যাল ট্যাক্টিসে খেলানো শুরু করেন। নাপোলিতে থাকাকালীন সময় থেকেই তার বিখ্যাত ‘সারি বল’ ট্যাক্টিস সমাদৃত হয়েছিল ফুটবল বিশ্বে। চেলসিতেও প্রথম মৌসুমে সমাদৃত হলেও পরের মৌসুমে কিছুই করতে পারেননি সারি। একই ট্যাক্টিকসে খেলাতে চেয়েছিলেন তুরিনে। কিন্তু ঠিক এই জিনিসটাই বেশ অপছন্দ ছিল রোনালদোর।
প্রতি বছর একটু একটু করে টিমের বিল্ড-আপ প্লেতে কন্ট্রিবিউশন কমছিল তার। কমাটা অস্বাভাবিক নয়। ৩৫ বছর বয়সে এসে ২৫ বছর বয়সীদের মতন সার্ভিস দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্ভব নয় বিল্ড-আপ প্লেতে সর্বদা লেগে থাকাও। ফলে সারি বল পরেছিল মুখ থুবড়ে। লিগ জিতলেও বাকি দুই ট্রফি থেকে বাজেভাবে বিদায় নিয়েছিল জুভেন্টাস। মৌসুম শেষে পত্রপাঠে তাকেও বিদায় বলেছে জুভেন্টাস।
জুভেন্টাসের ভুল যেন মৌসুম যাচ্ছে আর চক্রবৃদ্ধিহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যালেগ্রির চলে যাওয়ার পর যদি সারিকে আনা ভুল হয় তবে সারির পর পিরলোকে আনাকে কোনো বিশেষণেই বিশেষায়িত করা যাবে না। আন্দ্রেয়া পিরলোকে মূলত করা হয়েছিল জুভেন্টাস অনুর্ধ্ব-২১ দলের কোচ। কিন্তু সারিকে বিদায় করে দেওয়ার পর পর কোনোকিছু না ভেবেই নিজেদের তারকার উপর ভরসা করে জুভেন্টাস।
বিশ্বজুড়ে ক্লাবদের নিজেদের সাবেক খেলোয়াড়দের প্রতি ভরসা করতে দেখে নিজেরাও ভেবেছিল পিরলো তৈরি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার সম্পূর্ণ উলটো। পিরলো তো তৈরি ছিলেনই না, বরং অপ্রস্তুত পিরলো বাড়োটা বাজিয়েছেন জুভেন্টাসের ট্যাক্টিসে। অ্যালেগ্রির আমলে ঠিক যতটা শান্তিতে খেলতে পেরেছিলেন রোনালদো, দিনকেদিন আরো তার উলটো হচ্ছে। ফলাফল রোনালদো আর জুভেন্টাসের মধ্যে মন কষাকষি।
পিরলো সাবেক সতীর্থ অ্যান্তোনিও ক্যাসানো খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন সময়টাকে, ‘জুভ রোনালদোকে সাইন করেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে। তারা পারেনি। পিরলো, কোচ হিসেবে শূণ্য অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছিল এই দায়িত্ব সামলাতে। আর আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টার দলের সমস্যাই শুধু বাড়াবে।’
বলতে গেলে রোনালদো আর জুভেন্টাসের মন কষাকষির ব্যাপারটাই হচ্ছে দলের কম্বিনেশন না থাকা। রিয়ালে তার সেরা সময়টা এসেছে যখজন তার পেছনে একটা সেট মিডফিল্ড ছিল। ক্রুস-মদ্রিচ-কাসেমিরো আর সাথে বেনজেমা। কিংবা এর আগে ডি মারিয়া-ওজিল-জাবি আলান্সো আর সাথে বেনজেমা। আর উইংব্যাক হিসেবে সর্বক্ষণের সাথী মার্সেলো ছিলই। আর জুভেন্টাসের মিডফিল্ড? আর্থার, রাবিওত, রামসে, ম্যাককেনি, বেন্তাকুর।
পার্থক্যটা ধরতে পেরেছেন? কেউই ঠিক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নয়, সবাই-ই কমবেশি ওয়ান ডাইমেনশনাল মিডফিল্ডার। যাদের কাজ মূলত হয়ে থাকে মিডফিল্ড কন্ট্রোল করা। গত দুই মৌসুম ধরে রোনালদোকে সাথ দেওয়া পাউলো দিবালাও নিয়মিত নন স্কোয়াডে। এই মৌসুমে একমাত্র রোনালদোকে সাপোর্ট দিতে পেরেছেন চিয়েসা, যিনি তথাকথিত মিডফিল্ডার নন বরং একজন রাইট উইংগার। যাকে পিরলো নিয়মিত ফোর-ম্যান-মিডফিল্ডে খেলাচ্ছেন ডানপাশে। একমাত্র তার সঙ্গেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন রোনালদো।
দলে রোনালদো থাকারতে রোনালদোর উপরে ডিপেন্ডেড হয়ে যাওয়াটাও অনেক বড় একটা প্রভাব পরেছে দলের খেলায়। রোনালদো না থাকলেই যেন খাপছাড়া হয়ে যায় তাদের আক্রমণভাগ। রোনাদো ছাড়া যেন কোনো ‘প্ল্যান বি’ তৈরিই করতে পারেনি দুই কোচ। রোনালদোর মন কষাকষি মূলত এই জায়গাতেই। পোর্তোর বিপক্ষে রোনালদোকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন পেপে। করাটা অস্বাভাবিক নয়, এতোদিনের সতীর্থ রোনালদোকে খুব কাছে থেকে চিনেন। তাকে বোতলবন্দি করে রাখার সময় একটা ভালো পাস পাননি সতীর্থদের কাছ থেকে। এমনকি কোনোভাবে স্পেস ক্রিয়েটও করতে পারেননি সতীর্থ মোরাতাকে দিয়ে। অথচ একসময়ের সতীর্থ মোরাতার খুব ভালোভাবেই জানা আছে কীভাবে এমন অবস্থা থেকে স্পেস বের করতেন বেনজেমা-রোনালদো।
রোনালদোর অবস্থা এখন সাগরের মাছ নদীতে এসে পরলে যেমন হয় ঠিক তেমনটা। ক্রুস-মদ্রিচ আর পাশে বেনজেমাকে ছেড়ে এখন আর্থার-রাবিওতের সাথে পরেছেন। ম্যাচ শেষ হয়ে যায়, হাতে গুনে একটা বা দুইটা বল পাওয়া যায়, উইং থেকে পারফেক্ট ক্রস কিংবা তার সাথে কম্বিনেশন করে ডিফেন্ডারদের ঘোল খাওয়ানো, কোনোটাই সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই ভাঙন প্রায় অবশ্যম্ভাবী।
জুভেন্টাস আর রোনালদোর ভাঙনের আরেকটা বড় কারণ হলো জুভেন্টাসের অর্থনৈতিক অবস্থা। কোভিড-১৯ এর কারণে দলদের খেলতে হচ্ছে দর্শকছাড়া। তাদের আয় কমেছে প্রায় ৩৬ পারসেন্ট। এমনকি এই মৌসুমের প্রথম ছয় মাসের তথ্য অনুযায়ী তাদের লস প্রায় ১১৩ মিলিয়ন ইউরো। যদিও তাদের মালিকের মূল গাড়ির ব্যবসায় লাভ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ক্লাবের এক্সপেন্স বেড়ে যাওয়া একটা বড় সমস্যা। আর এই সমস্যার অন্যতম মূল কারণ রোনালদো।
রোনালদো আসাতে ক্লাবের ভেল্যু যেমন বেড়েছে তেমনই তার পেছনে খরচ করতে হচ্ছে ৩০ মিলিয়ন ইউরো, তাও প্রতি বছরে। বোনাস ধরলে তা ৩৫-৪০ এর কাছেকাছি। কর, রাইটস সব মিলিয়ে শুধু রোনালদোর পেছনেই তাদের খরচ মোট ৮০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন ইউরো। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি এটাই। রোনালদোর পর তাদের সবচেয়ে বেশি বেতন দিতে হয় ম্যাথিয়াস ডি লিটকে, যার সাথে রোনালদোর বেতনের পার্থক্য ২২ মিলিয়ন ইউরো! ডি লিট বেতন নেন বছরে ৮ মিলিয়ন ইউরো।
রোনালদোকে এনেও যখন জুভেন্টাস তাদের সাফল্য পাচ্ছে না এমনকি তাদের নিয়মিত জেতা দুই ট্রফিতেও পরতে শুরু করেছে প্রভাব। গত দুই মৌসুমে কোপা ইতালিয়া হারিয়েছে ওল্ড লেডিরা। এমনকি এই মৌসুমে সিরি ‘আ’ হারানোর দ্বারপ্রান্তে তারা। রোনালদো কেন্দ্রিক খেলা এখন জুভেন্টাসের শাখের করাত। মাঠের ভেতরে আর বাইরে দু’জায়গাতেই রোনালদো একটা সমস্যা। তাই তাকে যত কমে পারে তাতে ছেড়ে দিতে পারলেই যেন বাঁচে জুভেন্টাস। সেজন্য ১০৫ মিলিয়ন দিয়ে কেনা রোনালদোকে ৩০ মিলিয়নেও ছাড়তে রাজি তারা।
এদিকে বিভিন্ন মিডিয়ার মতে রোনালদোর ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ। আগামী মৌসুমেই ইতালি ছাড়ছেন তিনি। কিন্তু এখনো কোথায় যাবেন তা ঠিক হয়নি। সেজন্য অবশ্য তার বন্ধু হোর্হে মেন্ডেস আছেন। সুপার এজেন্ট মেন্ডেস তার সুখ-দুঃখের সাথী। লিসবন থেকে শুরু করে জুভেন্টাস, ছোট থেকে এতো বড় হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় সাথী তো এই মেন্ডেসই। মেন্ডেসই খোঁজখবর লাগাচ্ছেন, রোনালদোকে আবারও পুরোনো রোনালদো করে তুলতে। কয়েক পত্রিকা তো এক কাঠি সরেস হয়ে রোনালদোকে রিয়ালের তারকা বানিয়ে দিল বলে।
সত্যি বলতে সাদা চোখে রোনালদো-রিয়াল এখনো ‘ম্যাচ মেইড ইন হেভেন’। ক্রুস-মদ্রিচ এখনো তাদের সেরা ফর্মে, তাদের রিপ্লেসমেন্টও রিয়ালের হাতের কাছেই। বেনজেমাও নিজেকে সান দিয়ে পরিণত করে ফেলেছেন পারফেক্ট স্ট্রাইকারে। ডাগ-আঊটে জিদান তো আছেনই। রোনালদোর ফেরত আসা হবে অ্যারাগোনের মিনাস টিরিথে ফেরার মতন। রাজা ফিরবেন তাঁর রাজত্ব্য ফেরত নিতে।