টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি আর সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কীর্তি দুটোই একজনের দখলে – তিনি মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটে বলে দায়িত্ব নিতে শিখেছেন, ঠিক যেমনটা নিয়েছেন কানপুর টেস্টে দলের বিপর্যয়ের সময়। ভারতীয় ব্যাটারদের তান্ডবে বাংলাদেশ যখন অসহায় প্রায়, তখন তাঁর কাছেই মিলেছিল দু’দন্ড স্বস্তি।
ইনফর্ম হাসান মাহমুদ কিংবা একাদশে ফেরা খালেদ আহমেদ যখন উড়ে গিয়েছেন ভারতীয় ওপেনারদের ঝড়ে তখন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ভরসা রেখেছিলেন এই স্পিনারের উপর। নতুন বলে তাঁকে ভরসা করার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণভাবে, প্রথম ওভারেই বোল্ড করেন বিধ্বংসী রোহিতকে।
ইনিংসের বাকিটা সময় কেবল এই ডানহাতিই ফেরেছেন স্বাগতিকদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে। আধিপত্য দেখালেও ভারত যে বড় অঙ্কের লিড পায়নি সেটার কৃতিত্বও তাঁরই।
টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকা লোকেশ রাহুলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন মিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা আর আকাশ দীপের উইকেটও নিজের ঝুলিতে পুরেছেন তিনি।
ইকোনমিক্যাল বোলিংয়েও কার্যকরী ছিলেন এই তারকা। বাকি বোলারদের প্রত্যেকেই যেখানে ওভারপ্রতি সাতের বেশি রান দিয়েছেন এদিন সেখানে তিন বল করেছেন প্রায় ছয় ইকোনমিতে। উইকেট বুঝে, ব্যাটারদের মানসিকতা বুঝে যেভাবে বল করেছেন সেটা বাকিরা অনুসরণ করতে পারলে এতটাও চাপে পড়তে হতো না নাজমুল হোসেন শান্তর বাহিনীকে।
সাকিব আল হাসান অবসরের দ্বারপ্রান্তে, দলের বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে মেহেদি মিরাজ তাই নাম্বার ওয়ান চয়েজ হয়ে যাবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি যে নিজেকে দারুণভাবে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন সেটাই দেখা গেলো কানপুরে। যদিও সাকিবের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে হলে তাঁকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।