পাকিস্তানি দলের নেতৃত্ব এখন স্রেফ মিউজিক্যাল চেয়ার। সেই চেয়ার ছেড়েছেন বাবর আজম, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বারবার এই একই কাজ করেই যাচ্ছেন তিনি। এখন নতুন করে অধিনায়ক খুঁজতে হবে দলটিকে।
পাকিস্তানি লকারে গুঞ্জন, কে হবেন তাদের নতুন অধিনায়ক? এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। অবশ্য, রিজওয়ান বাদে বাকি সবাইকেই কম বেশি সুযোগ দিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। তাই, এখন টিম ম্যানেজমেন্ট তো বটেই, সাবেক অধিনায়কদের চোখে এই সময়ে তিনিই সেরা।
এই দলে আছেন মুদাসসর নরজ। তিনি বিশ্বাস করেন রিজওয়ানই এই মূহুর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়কের একমাত্র যোগ্য দাবিদার। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে, তাদের খুব একটা বাছ-বিচার করার সুযোগ নেই। রিজওয়ান বাদে তাঁরা সবাইকেই সুযোগ দিয়ে ফেলেছে। এখন তাদের রিজওয়ানকেই অধিনায়ক করতে হবে।’
মুদাসসর নজরের দাবি যদিও, রিজওয়ানের ব্যাপারে বোর্ডের আগ্রহ নেই বললেই চলে। হোক সে বোর্ডের ভেতরে অথবা একেবারে উপরের মহলের। তবে এবার তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌছাতে তারা বাধ্য।
এর কারণও জানান নাজার। তিনি বলেন, ‘যদি এর চেয়ে তরুণ কোনো খেলোয়াড় অধিনায়ক হয়, সেক্ষেত্রে বাবরের মতো অবস্থায় সে পড়তে বাধ্য। এর চেয়ে বরং তাঁর (রিজওয়ান) তত্ত্বাবধায়নে আরেকজন তরুণকে গড়ে তুলুক।’
রিজওয়ানকে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের সুযোগ দেয়ারও দাবি জানান নজর। এতে দলের মধ্যে ঐক্য বাড়বে। বিশ্বসেরা অধিনায়ক যাচাইয়ে ২০০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি আর গ্রায়েম স্মিথকে সেরা ২০-এ রেখেছেন। তাঁরা দু’জনেই ২৪ বছর বয়সে দলের অধিনায়ক হন।
যদিও, নজর পাকিস্তানের ঘন ঘন অধিনায়ক পাল্টানোর তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি মনে করেন এভাবে বার বার অধিনায়ক পরিবর্তন দলে গ্রুপিং সৃষ্টি করে। নজরের ব্যাখ্যা নি:সন্দেহে যুক্তিসংগত।
অধিনায়ক বাবর এ নিয়ে দুই দফা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এর আগের বারেও নিজেই এ দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। ফলে নিজের ব্যাটিং এবং দলের দায়িত্বে রীতিমতো হিমশিমই খেয়েছেন বাবর। সেক্ষেত্রে রিজওয়ানের অভিজ্ঞতা দলকে কিছুটা সাফল্য এনেও দিতে পারে।