More

Social Media

Light
Dark

ভিন্ন পন্থায় সমস্যার সমাধান অন্বেষণে ব্যস্ত হৃদয়

তবে একেবারে ত্রুটিহীন ব্যাটারে এখনও পরিণত হতে হৃদয় পারেননি। দূর্বলতার জায়গাটা রয়ে গেছে অফ সাইডে।

কখনো হেডকোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে দিচ্ছেন টোটকা। কখনো সহকারি কোচ নিক পোথাস দিচ্ছেন দীক্ষা। হৃদয় যে বাংলাদেশের হৃদয়ে পরিণত হয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে ফেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের অন্যতম আস্থাভাজন ব্যাটারে পরিণত হয়েছেন তিনি। তাইতো তাকে ঘিরে বাড়তি নজর থাকে সকলের।

তবে একেবারে ত্রুটিহীন ব্যাটারে এখনও পরিণত হতে তিনি পারেননি। দূর্বলতার জায়গাটা রয়ে গেছে অফ সাইডে। আধুনিক ব্যাটারদের অবশ্য এই সমস্যা নতুন নয়। অফ সাইডে খেলা শট গুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই খানিক কম থাকে। যার মূল কারণ পায়ের পজিশন। শট খেলার পর হৃদয়ের পা কাত হয়ে মাটি স্পর্শ করে। কিন্তু ক্ল্যাসিকাল ব্যাটারদের অফ ড্রাইভ খেলার ক্ষেত্রে পেছনে পায়ের ভর থাকে আঙুলের উপর।

এই সামান্য পরিবর্তনের কারণেই শটের নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটে। হৃদয় চাইলেও তার ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি ভিন্ন পন্থায় শটের কার্যকারিতা বাড়াতে পারবেন। সে প্রচেষ্টাই তাকে করতে দেখা গেছে গোয়ালিয়রে। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে নিজেকে প্রস্তুত করছেন হৃদয়।

অফ সাইডে খেলা শটগুলো যেন হাফহার্টেড না হয়, সেজন্যে পাওয়ার বল ব্যবহার করে তিনি অফ সাইডে শট অনুশীলন করেছেন। তাতে করে শটের উপর তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও ক্ষতির হার কমানো সম্ভব। পাওয়ারফুল শট মুহূর্তের মধ্যে ফিল্ডারের পাশ ঘেষে বেড়িয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত গতি ক্যাচ মিসের কারণও হতে পারে।

এসবদিক মাথায় রেখে তাওহীদ হৃদয় নিজের অফসাইডের দূর্বলতাকে ভিন্ন পন্থায় শক্তিতে রুপান্তরিত করছেন। তাকে নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রেখেছেন দলের কোচিং প্যানেল। হৃদয়ের ব্যাটে রান এলেই ফলাফল চলে আসতে পারে বাংলাদেশের পক্ষে, সেটা তো এখন রীতিমত ওপেন সিক্রেট।

Share via
Copy link