অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের রান প্রসবা উইকেট। প্রথম ওভারেই সেটা টের পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এক ওভারে হজম করলেন ১৫ রান। ভারতীয় ব্যাটারদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হবে বাংলাদেশ, তেমন পূর্ভাবাস মিলছিল। কিন্তু পাওয়ার প্লে-তে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা।
অন্তত পরিকল্পনাহীন যত্রতত্র বোলিং পেসারদের করতে দেখা যায়নি এদিন। তারা ভারতীয় ব্যাটারদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেবেন না বলেই ছক কষেছিল। সে জন্যে তাদের প্রধান অস্ত্র ছিল গতির তারতম্য। কখনো স্লোয়ার, কখনো ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিতে বল ছুঁড়েছেন টাইগার পেসাররা।
থতমত খেয়ে উইকেট উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৪৫ রান নিতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। পথিমধ্যে তাদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পতন ঘটে। এদিক থেকে বাংলাদেশের বোলাররা প্রশংসার দাবিদার।
কোন প্রকার অযাচিত বোলিংয়ের দেখা মেলেনি তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিবদের কাছ থেকে। বরং দুর্দান্ত লাইন ও লেন্থে বল ছুঁড়েছেন প্রত্যেকে। ভারতীয় ব্যাটাররা রুম পেলেই, হাত ঘুরাতে পটু। সে কথা ভাল করেই জানা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই তো একেবারে আঁটসাঁট লাইনে বল করতে বলা হয়েছে সম্ভবত টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। সেটাই করেছেন পেসাররা।
বেশ অস্বস্তি নিয়ে ব্যাট চালাতে দ্বিধান্বিত ছিলেন সুরিয়া কুমার যাদবরা। ব্যাটিং সহায়ক বাইশ গজে দাঁড়িয়ে শট খেলতে না পারার একটা আক্ষেপ ছিল ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে। সেই আক্ষেপকে আরও ঘনীভূত করে বাংলাদেশি পেসারদের হুটহাট স্লোয়ার বল।
বলের গতি বুঝতে ভুল করেছেন সুরিয়া কুমার যাদব, সাঞ্জু স্যামসনরা। স্লোয়ার বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন দুই জনে। অন্যদিকে, তানজিম সাকিবের ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হয়েছেন অভিষেক শর্মা। প্রথম ওভারের বাজে শুরুর পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়, যথাযথ পরিকল্পনার উপর ভর করে। এভাবেই ফিরে আসার যাত্রা শুরু করতে হয়।