হায়দ্রাবাদে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি। তবে সে সবের মাঝে কাঁঠালের আমসত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন হৃদয়। যাতে করে অবশ্য বদলায়নি কিছুই।
রেকর্ড ২৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটেও বাংলাদেশ হয়ত এই রান তাড়া করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ত। সেই রানের পেছনে তারা ছুটেছে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে। যা হওয়ার হয়েছে তাই। বাংলাদেশ ধারে-কাছেও পৌঁছাতে পারেনি। থেমেছে বহুদূরে।
তবে যতখানি দূরত্ব কমানো গেছে, তা হয়েছে হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে। প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটের একটা ইনিংস খেলে গেলেন তাওহীদ হৃদয়। এই ইনিংসে দলের বিশেষ কোন উপকার অবশ্য হয়নি। ৬৩ রানে তিনি অপরাজিত থেকেছেন বৈকি। কিন্তু বল খেলেছেন ৪২টি।
এই ইনিংসটি হয়ত হৃদয়কে খানিক আত্মবিশ্বাসের যোগান দেবে। এর বেশি কিছু পাওয়ার উপায় নেই। যে উইকেটে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ব্যাটাররা রঙ্গলীলা করেছে, সে উইকেটে দাঁড়িয়ে ব্যাট করতেও যেন মুশকিলে পড়েছিলেন হৃদয়রা। জানা আছে, জয় পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ব্যবধান কমানোর একটা প্রয়াশ থাকা প্রয়োজন। সেই প্রয়াশ অনুপস্থিত ছিল।
অবশ্য প্রয়াশকে দোষ দিয়েও লাভ নেই। সামর্থ্যেই যে কুলোয় না। হৃদয় এমন পরিস্থিতিতে স্রেফ চেষ্টাই করে গেছেন। চেষ্টা ছাড়া, তার আর বিশেষ কিছু করারও ছিল না। ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানের পাতায় কলমের আচড় পড়া ছাড়া হৃদয়েরও বিশেষ কোন উপকার বয়ে নিয়ে আসেনি হায়দ্রাবাদের ইনিংস।