বিরতির ঠিক আগে রাসমাস ক্রিস্টেনসনকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ একটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন লামিন ইয়ামাল। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য, ক্যাস্পার স্মাইকেলকে ওয়ান ভি ওয়ানে পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে বল গোল বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। সেই সাথে নষ্ট হয় এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
ডেনমার্কের বিপক্ষে স্পেন ম্যাচের নিয়মিত দৃশ্যই ছিল এসব। কখনো ইয়ামাল, কখনো বা অন্য কেউ সুযোগ পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু গোল করার পরিবর্তে মিসের মহড়া দিয়েছেন। স্মাইকেলও বোধহয় পণ করেছিলেন একটা মাছিকেও ঢুকতে দিবেন না।
অথচ কি আশ্চর্য, ডেনমার্কের পয়েন্ট জেতার স্বপ্ন এই গোলরক্ষক নিজেই ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। মার্টিন জুবিমেন্ডির প্রায় বিশ গজ দূর থেকে নেয়া বুলেট শট তাঁর হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। দুর্ধর্ষ সব শট ঠেকিয়ে দেয়ার পর এভাবে গোল হজম করবেন সেটা বোধহয় তিনিও ভাবতে পারেননি – যদিও ঠিকঠাক ভলি মারার কৃতিত্ব দিতেই হবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে।
কৃতিত্ব দিতে হবে ১৭ বছর বয়সী বার্সা তারকাকেও। না, তিনি গোল করেননি এদিন; অ্যাসিস্টও করেননি। তবে বরাবরের মতই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পায়ের জাদুতে, উইং ধরে একের পর এক আক্রমণ নিয়ে হানা দিয়েছেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। নব্বই মিনিটের মাথায় বদলি হওয়ার আগে নিজে মোট পাঁচটা শট নিয়েছিলেন এই তরুণ, সতীর্থের জন্য বানিয়ে দিয়েছিলেন দুইটি সুযোগও।
এছাড়া ম্যাচে এককভাবে সর্বোচ্চ ড্রিবলিংয়ের রেকর্ড তাঁর দখলে, সর্বোচ্চ আটটি ডুয়েলও জিতেছেন তিনি। এতকিছুর পরও গোল বা অ্যাসিস্ট করতে না পারা নিশ্চয়ই পোড়াবে তাঁকে। তবে জুবিমেন্ডির সেই গোলে মান রক্ষা হয়েছে দলের। শেষমেশ এই এক গোলের ব্যবধানেই জয় পেয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
উয়েফা নেশন্স লিগে সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ড্র করে বসেছিল স্পেন। তবে পর পর দুই ম্যাচ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো তাঁরা – আপাতত পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে অবস্থান তাঁদের।