লিসবনে প্রথম গোলের জন্য ম্যানচেস্টার সিটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে স্রেফ তিন মিনিট। হিদেমাসা মরিতার পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান ফিল ফোডেন, এরপর নিজেই শট নিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। সিটি সমর্থকেরা তখনও হয়তো ভাবতে পারেনি কি আসতে যাচ্ছে তাঁদের জন্য, কি এক মহাপ্রলয়ঙ্কর ঝড় আছড়ে পড়তে যাচ্ছে তাঁদের ওপর।
সেই ঝড়ের নাম ভিক্টর গায়োকেরেস; ১৯৮২ সালের তিনিই প্রথম ফুটবলার যে স্পোর্টিং সিপির জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন। তাঁর এই হ্যাটট্রিকের কল্যাণে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো পেপ গার্দিওলার দল – অনেকটাই যেন রিয়াল মাদ্রিদ গল্পের পুনঃমঞ্চায়ন।
ঝড়ের শুরুটা হয় ৩৮ মিনিটের মাথায়, জিওভানি কুয়েন্দা নিজেদের অর্ধ থেকেই দুর্ধর্ষ এক থ্রু পাসে খুঁজে নেন গায়োকেরেসকে। একেবারে ‘পিউর নাম্বার নাইনের’ স্টাইলে সেই বল এডারসনের ওপর দিয়ে গোলবারের ভিতরে পাঠান তিনি।
এরপর তো কিছু বুঝে উঠার আগেই আবার আঘাত, দ্বিতীয়ার্ধে কিক অফের পরপরই ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাউহো বাঁকানো শটে লিড এনে দেন স্বাগতিকদের। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারো ম্যানসিটির রক্ষণে হামলা, এবার সরাসরি গোল না পেলেও পেনাল্টি আদায় করে নেন ত্রিনকাও, সুইডিশ স্ট্রাইকার দলকে সে যাত্রায় এগিয়ে দিতে কোন ভুল করেননি।
অথচ একই কাজটা করতে পারলেন না আর্লিং হাল্যান্ড, বাম পায়ে নেয়া পেনাল্টি শট গোলবারে বাঁধা পেয়ে অদৃশ্য উপহাস করেছে তাঁকে নিয়ে। ভাগ্যের অদ্ভুত কাকতালে স্পোর্টিং সিপি দ্বিতীয়বারের মতন স্পট কিকের সুযোগ পান, গায়োকেরেস এবারও ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথায় দলের চতুর্থ গোলের পাশাপাশি আদায় করে নেন নিজের হ্যাটট্রিকও!
রুবেন আমোরিমের অধীনে শেষ হোম ম্যাচ দারুণভাবে রাঙিয়ে রাখলো পর্তুগিজ দলটা। তাছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেয়ার আগে দারুণ একটা প্রস্তুতিও হয়ে গেল অ্যামোরিমের।
অন্যদিকে, গার্দিওলার জন্য সময়টা এখন দু:স্বপ্নের মত; টটেনহ্যামের বিপক্ষে ইএফএল কাপে হার, বোর্নমাউথের বিপক্ষে লিগ ম্যাচে হার, অতঃপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বিধ্বস্ত হলেন তিনি।