লোকেশ রাহুলের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল সব কথা। আউট হয়ে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সত্যিই কি আউট হয়েছিলেন, নাকি আরেকটি ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হলেন লোকেশ রাহুল?
মিশেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ যায়। আম্পায়ার স্টার্কদের আবেদনে সারা দেয়নি। তবে, উইকেটরক্ষক ও মাঠে থাকা সবাই দুটো আওয়াজ টের পায়। আর শব্দটা ব্যাটের, তবে ব্যাট কি বলে লেগেছে না প্যাডে – সেটা বোধগম্য নয়।
রিভিউতে স্নিকো মিটারে স্পাইক দেখা গেল। কিন্তু, হটস্পট না থাকায় বোঝার উপায় নেই যে বল আদৌ ব্যাটে লেগেছিল কি না। এই অবস্থায় বেনিফিট অব ডাউট তো ব্যাটারই পেয়ে থাকেন। কিন্তু, টেলিভিশন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ রায় দিলেন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে।
এমনকি সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত আলাদা আলাদা ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ধরে দেখারও প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। মাঠে ৮০ টা ব্রডকাস্টিং ক্যামেরা থাকার পরও মাত্র দু’টো অ্যাঙ্গেলেই নির্ধারিত হল লোকেশ রাহুলের ভাগ্য। কেন এত তাড়াহুড়া!
মাঠ থেকে যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন লোকেশ রাহুল তখন তাঁর চাহনী ছিল ক্ষুব্ধ। মাথা ঝাঁকিয়ে ক্ষোভ নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। মাত্র ৪৭ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। ক্ষোভ ছড়িয়ে যায় ড্রেসিংরুমেও।
ভারতের উইকেট পতনের মিছিলেন ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেবল লোকেশ রাহুলই। তবে, তাঁরও শেষ রক্ষা হল না। ৭৪ বলের সংগ্রামী ইনিংস শেষ হল ২৬ রানে গিয়ে। আর বিদায়টা হল প্রশ্নবিদ্ধ। হটস্পট না থাকার জন্য এর আগে দেশের মাটিতে ভুগেছিল ভারত, এবার ভুগছে দেশের ভেতর। এর শেষ কোথায়!