সাকিব আল হাসানের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি? না, সম্ভবত নেই। তিনি সব দিক থেকে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দূর্বলতম অবস্থানে আছেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে তাঁর নাম তোলাই হল না। মানে, কোনো দলই বুড়ো বয়সের ক্ষয়িষ্ণু এই সাকিবকে কিনতে রাজি নয়।
কে বলবে, এই সাকিবই দু’টো ভিন্ন দলের হয়ে চারবার আইপিএলের ফাইনাল খেলেছেন, জিতেছেন দু’টোতে। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিজের দেখা সর্বকালের সেরা দল বানাতে তাঁকে তাঁকে অনায়াসে রাখেন খোদ গৌতম গম্ভীর।
কিন্তু, ওই যে জীবনানন্দ দাশ বলে গেছেন – প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। সাকিবদেরও তাই চলে যেতে হয়। আর সেই চলে যাওয়াটা এতটাই করুণ যে আবু ধাবি টি-টেন লিগেও তিনি এক ওভারে ২৫ রান হজম করে বসেন।
অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়। সাকিবেরও এখন তেমনই দশা। আবু ধাবিতে শুরু থেকে নিজে পারফরম করছিলেন। কিন্তু, দল একেবারেই ব্যর্থ। সাকিব আবার দলের অধিনায়ক। প্রথম দুই ম্যাচে নিজে পারফরম করলেও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
তৃতীয় ম্যাচে দল জিতেছে বটে। তবে, ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। ব্যাটিংয়ে তাঁকে নামতেই হয়নি। আর বল হাতে এক ওভারে রানের পাহাড় গড়েছেন।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলা টাইগার্স দলে বল হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন রশিদ খান। দুই ওভারে মোটে চার রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। আর ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন।
দুই বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলা টাইগার্স। কিন্তু, যিনি ছিলেন সত্যিকারের ‘টাইগার’ তিনি আজকাল আর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন কোথায়!