দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় চোকার

এইতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটার কথাই ভাবা যাক। পারফরম করেছেন ঠিকই, কিন্তু সেই পারফরম্যান্সকে পূর্ণতা দিতে পারেননি। তীরে এসে তরি ডুবিয়েছেন দুই ম্যাচেই। এটা কি স্রেফ সামর্থ্যের অভাব নাকি ক্রিকেট বিধাতা তাঁর ওপরে রুষ্ট সেটা অবশ্য জানা সম্ভব নয়। 

চোকারের ট্যাগটা তো দক্ষিণ আফ্রিকার গায়ে লেগেই আছে, সেই প্রাগৈতিহাসিক আমল থেকেই এই অভ্যাস তাঁদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। তবে হেনরিখ ক্লাসেন বোধহয় এক কাঠি ওপরে, চোক করার ক্ষেত্রে যে কোন সতীর্থকে হারিয়ে দিতে পারবেন তিনি।

এইতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটার কথাই ভাবা যাক। পারফরম করেছেন ঠিকই, কিন্তু সেই পারফরম্যান্সকে পূর্ণতা দিতে পারেননি। তীরে এসে তরি ডুবিয়েছেন দুই ম্যাচেই। এটা কি স্রেফ সামর্থ্যের অভাব নাকি ক্রিকেট বিধাতা তাঁর ওপরে রুষ্ট সেটা অবশ্য জানা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৩০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে কেবল এই ডানহাতিই পেরেছেন পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে। বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মধ্যে এক প্রান্ত আগলে তিনি জিইয়ে রেখেছিলেন জয়ের আশা। শেষপর্যন্ত অবশ্য পারেননি, ৭৪ বলে ৯৭ রান করে আউট হয়েছেন। একদিকে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ অন্যদিকে পরাজয়ের বেদনা – তাঁর মনের অবস্থা আন্দাজ করাটা কঠিন কিছু নয়।

এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৭ বলে ৮৬ রানের আরো একটা অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক। সেদিনও তিন অঙ্কের কাছাকাছি এসে ফিরেছেন ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে – তিনি ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই উপকৃত হতো প্রোটিয়ারা। দলীয় সংগ্রহ একটু হলেও বেশি, হয়তো তাতে তিন উইকেটের পরাজয় এড়ানো যেত।

কিন্তু কিছু হলো না, ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে শতক এবং জয় হাতছাড়া হলো ক্লাসেনের। সেই সাথে হাতছাড়া হলো সিরিজও। তাঁর একক বীরত্ব সত্ত্বেও এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ হেরে গিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।

সেজন্য অবশ্য পাক বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হয়, বিশেষ করে শাহীন শাহ এবং নাসিম শাহ। তাঁদের সাথে যোগ হয়েছেন সালমান আঘা, আবরার আহমেদও। এদের সবার মিলিত প্রচেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে উৎসব সৃষ্টি করতে পেরেছে পাকিস্তান।

Share via
Copy link