হুট করেই জরুরি বৈঠক ডাকলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান বিশৃঙ্খলা দ্রুত সমাধান করতেই বিসিবি বস উড়ে গেছেন চট্টগ্রামে। গিয়ে সোজা ঢুকেছেন টিম হোটেলে। সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন দুর্বার রাজশাহীর সাথে। যদিও, এখন অবধি সেই বৈঠকের কোনো ফলাফল আসেনি।
দূর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা এখনো পারিশ্রমিক না পেয়ে অনুশীলন বয়কট করেছে। গুঞ্জন আছে, এমনকি তারা ম্যাচও বয়কট করতে পারেন। যদি বিপিএল আসরে এগুলো নিত্যদিনের ঘটনা। কেননা রাজশাহী দলের এই দুরবস্থার কথা গত ৮ জানুয়ারি থেকে জানলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি গভর্নিং কাউন্সিল।
বিপিএলের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের তখনই এ বিষয়ে অবগত করেছিলেন রাজশাহীর কোচ, সাবেক পাকিস্তানি খেলোয়াড় ইজাজ আহমেদ। যদিও তা আমলেই নেয়নি তারা। পরবর্তীতে প্রেস কনফারেন্স ডাকার ও বয়কট করার হুমকিও দেয় রাজশাহীর বিদেশি কোচেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন বিদেশি স্টাফদের মাত্র ২৫ শতাংশ পেমেন্ট পরিশোধ করে দলটি।
তবে এখনো বেতন না পাওয়ায় খেলোয়াড়রা আর অপেক্ষা করেননি। ফলাফল, এমন বেহাল দশায় নড়েচড়ে বসেছেন ফারুক আহমেদ। এবারের বিপিএল আসার কথা ছিল অনেক পরিবর্তন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে প্রতিশ্রতির কমতি রাখেননি ফারুক সাহেব।
তবে কথায় আর কাজে যে বড্ড গরমিল। চলতি বিপিএলেও সমস্যার অন্ত নেই। এমন ঘটনার পর থেকে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না অনেক খেলোয়াড় এবং কোচ। রাজশাহীর এই অর্থনৈতিক সঙ্কট যেন পুরো টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার একটি উদাহরণ।
অনেকেই মনে করছেন, সমস্যা শুধু রাজশাহীর নয়, বরং গভর্নিং কাউন্সিলের অদক্ষতা এবং বিসিবির পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবের ফলাফল। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ নিয়ে এমন জটিলতা প্রমাণ করে যে, লিগের জন্য নির্ধারিত বাজেট ও চুক্তিগুলো সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে না।
এই ঘটনার পর, খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে চাপা ক্ষোভ আরও বেড়েছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যেও একটি বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে যে, বিপিএল হয়তো আর্থিক দিক থেকে নিরাপদ লিগ নয়। ভবিষ্যতে তারা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন।