জমাট প্রেমের বিষাদগাঁথা

শিরোনাম শুনে নিশ্চয়ই অনেকের চোখ কপালে উঠে গেছে। না, কেউ ভুল পড়ছেন না। সত্যিই আশির দশকে প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন দু’টি ভিন্ন অঙ্গনের দুই সুপারস্টার। বিশ্বকাপজয়ী রবি শাস্ত্রী ও সুপার স্টার অমৃতা সিংয়ের সম্পর্কটা শেষ অবধি পূর্ণতা পায়নি। আর পায়নি বলেই আজকাল আর সেসব নিয়ে চর্চা হয় খুব কম!

ক্রিকেট তারকাদের সাথে বলিউড তারকাদের জুটি বাঁধার অনেক নজিরই আছে। শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করেন মনসুর আলী খান পতৌদি। কিংবা একালের বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার জুটিও বেশ আলোচনার ঝড় তোলে।

এই তালিকায় যোগ হতে পারতো শাস্ত্রী আর অমৃতার নামও। আশির দশকে দু’জনই ছিলেন সুপারস্টার। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ে শাস্ত্রীর অবদান কম নয়। আবার একই সাথে রুপালি পর্দায় তখন ঝড় তুলে যাচ্ছেন অমৃতা।

তেমনই একটা সময় অমৃতার প্রেমে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান শাস্ত্রী। তখন আশির দশকের মধ্যভাগ। একটা ফটোশ্যুটে গিয়ে প্রথম তাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে মেলামেশা, অবশেষে পরিণয়।

একবার ‘সিনেবাজ’ নামের একটি ম্যাগাজিনের কভারে দু’জনকে এক সাথে দেখা গিয়েছিল। তখনই, প্রথমবারের মত ভক্ত-সমর্থকরা তাদের ব্যাপারে জানতে পারে। অন্য ভাবে বললে, তারাও এই ছবির মধ্য দিয়েই নিজেদের সম্পর্কের কথা খোলামেলা ভাবেই সবাইকে জানাতে চেয়েছিলেন।

১৯৮৬ সালে তাঁরা বাগদানও সেরে ফেলেন। বিয়ে করে ফেলবেন শিঘ্রই, বাতাসে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু, সেই গুঞ্জনে জল ঢেলে দেয় তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েন। শাস্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রীকে স্ত্রী হিসেবে চাই না। আমি এদিক থেকে একটু পুরনো চিন্তাধারার মানুষ। আমি চাইবো, আমার সংসারই তাঁর কাছে সবার আগে থাকুক।’

দাবীটা অমৃতা পুরোপুরি না মানলেও একটা পথ খোলা রেখেছিলেন। বলেছিলেন, ‘এখন আমি পুরোপুরি নিজের ক্যারিয়ারে ডুবে আছি। তবে, কয়েকবছর পরই চিত্রটা এমন থাকবে না। তখন আমি পুরোপুরি স্ত্রী ও মায়ের ভূমিকা পালন করতে পারবো।’

তবে, অপেক্ষা করতে নারাজ ছিলেন শাস্ত্রী। ব্যস, সম্পর্কের ইতি ঘটলো বছর কয়েকের মধ্যেই। ১৯৯০ সালে শাস্ত্রী বিয়ে করেন রিতুকে। আর ১৯৯১ সালে বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের সাথে বৈবাহিক জীবন শুরু হয় অমৃতার।

যদিও, কারো বিয়েই শেষ অবধি টিকেনি। সাইফের সাথে অমৃতার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছে অনেকদিন হল। আর স্ত্রী রিতুর সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে এখন ভারতীয় জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা শাস্ত্রীর। কে জানে, নিয়তি একটু অন্যরকম হলেই আজ তারা একজন আরেকজনের হতেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link