সর্বজন শ্রদ্ধেয় ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, ক্রিকেট কোচ ও প্রথিতযশা ক্রীড়ালেখক জনাব জালাল আহমেদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা ১১ টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জালাল আহমেদের মৃত্যুবরণের বিষয়টি খেলা ৭১ – নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কেয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্য নিয়ে হসপিতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন জালাল আহমেদ। এর আগে এই মাসের শুরুতে ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় নিয়েই হসপিতালে ভর্তি হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় গিয়েছিলেন তিনি।
জালাল আহমেদ চৌধুরির স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন অনেক আগেই। ঢাকায় একাই থাকতেন তিনি। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকতেন। তবে অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর দুই সন্তানই ঢাকায় চলে এসেছেন গতকাল।
জালাল আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট খেলেছেন সত্তর ও আশির দশকে। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কোচিংয়ের সাথেও জড়িত ছিলেন দীর্ঘ সময়। তাঁর হাত ধরেই অনেক তারকা ক্রিকেটার উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়। সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মুর্তজা কিংবা তুষার ইমরানের মত ক্রিকেটাররা তাঁর কোচিংয়ে খেলেছেন বিভিন্ন সময়।
শুধু ক্রিকেট খেলা ও কোচিং নয়, ক্রীড়া সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। দেশের পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ক্রিকেট খেলা, শেখানো ও ক্রিকেট নিয়ে লেখা, কিংবা ক্রিকেটের সাংগটনিক দক্ষতা – ক্রিকেটের নানা অঙ্গে এতটা দাপট আগে পরে কেউ দেখাতে পারেননি। তিনি দেশের ক্রিকেটের সত্যিকারের অলরাউন্ডার ছিলেন।