মূল পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে সেরা ছন্দে ফিরলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
ওমানে ১৮২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে মুখ থুবড়ে পড়ে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং শিবির। তাসকিন, সাইফউদ্দিনের পর সাকিবের আঘাতে বিধ্বস্থ পাপুয়ার ব্যাটিং শিবির। ওপেনিং জুটিতে ১১ রান এলেও এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাপুয়ার ব্যাটিং শিবির। বিনা উইকেটে ১১ থেকে মাত্র ২৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় পাপুয়া নিউগিনি! ১৮ রানের বিনিময়ে নেই ৭ উইকেট।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন সাকিব। সাকিবের ম্যাজিকেল স্পেলে থিতু হতে পারেননি পাপুয়ার কোনো ব্যাটার।
অষ্টম উইকেটে চাঁদ সোপার ও কিপলিন দর্গিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে মান বাঁচে পাপুয়া নিউগিনির। সোপার ফিরলেও দর্গিয়ার দৃঢ়তায় বেশ ভালো সংগ্রহই পায় পাপুয়া নিউগিনি। শেষ পর্যন্ত দর্গিয়ার ২ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৪৬ রানের পরেও শেষ ৩ বল থাকতে ৯৭ রানে গুড়িয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। ৮৪ রানের জয়ে সুপার টুয়েলভে পা দেয় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই আউট নাইম শেখ! আগের ম্যাচে ফিফটি করলেও এই ম্যাচে ফিরলেন খালি হাতেই। সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধীরগতির পঞ্চাশের জুটি গড়লেও লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ২৩ বলে ২৯ রানে। আগের পজিশনে ফিরলেও মুশফিক এদিনও ছিলেন ব্যর্থ!
মাত্র ৫ রানে ফেরেন তিনি। টানা তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার চাদরে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৭২ রানে তিন উইকেট পড়লে সাকিবের সাথে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ-সাকিবের ব্যাটে ভালোই এগোতে থাকে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফিফটির কাছে যেতেই মিস হিট আর চার্লস আমিনির দুর্দান্ত ক্যাচে ৩ ছক্কায় ৩৭ বলে ৪৬ রানে ফেরেন সাকিব!
মাত্র চার রানের জন্য সাকিব দেখা পাননি ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির। একপ্রান্তে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় খেলতে থাকেন রিয়াদ। আর সেই যাত্রায় সঙ্গী হন আফিফ হোসেন। পাপুয়ার বোলারদের উপর দাপট দেখিয়ে ২৭ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি করেন তিনি। ২৮ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রানে রিয়াদ ফিরলে ওই ওভারেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে আউট হন নুরুল হাসান সোহান।
এরপর আফিফ-সাইফের দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আফিফ ১৪ বলে ২১ রানে আউট হলেও সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১৯ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে সর্বোচ্চ ২ টি করে উইকেট নেন আসাদ ভালা, ড্যামিয়েন রাভু ও কাবুয়া মরেয়া।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ – ১৮১/৭,২০ ওভার ;মাহমুদউল্লাহ ৫০(২০), সাকিব ৪৬(৩৭), আফিফ ২১(১৪), সাইফউদ্দিন ১৯(৬)* ; কাবুয়া ৪-০-২৬-২, ভালা ৩-০-২৬-২, রাভু ৪-০-৪০-২
পাপুয়া নিউগিনি – ৯৭ অলআউট, ১৯.৩ ওভার; দর্গিয়া ৪৬(৩৪), সোপার ১১(১২) ; সাকিব ৪-০-৯-৪, সাইফউদ্দিন ৪-০-২১-২, মাহেদি ৪-০-২০-১।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)