নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন পেসার আবেশ খান। আর প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই বেশ উচ্ছ্বসিত মধ্যপ্রদেশের এই পেসার। সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে ২৪ উইকেট শিকার করেছিলেন এই পেসার।
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে এই পেসার জানান নিজের স্বপ্ন পূরনের কথা। তিনি বলেন, ‘ প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে নিজ দেশের হয়ে খেলার। এবং সে সবসময়ই চেষ্টা করে পরিশ্রম করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে। আমার স্বপ্ন এখন পূরন হয়েছে। ‘
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৭ ম্যাচে পেয়েছেন ১০০ উইকেট। গেলো দুই আসর ধরেই আইপিএলে করছেন নজরকাঁড়া পারফরম্যান্স। ঘরোয়া ক্রিকেটেও গত মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম করে নির্বাচকদের নজর কাড়েন এই পেসার। ডান হাতি এই পেসার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় ধন্যবাদ জানান সাবেক ক্রিকেটারদেরও। অময় খুরসিয়া, চন্দ্রকান্ত পন্ডিত, দেবেন্দ্র বান্ডেলা এবং আব্বাস আলি দের কারণেই ক্যারিয়ারে এতোদূর আসতে পেরেছেন আবেশ।
আবেশের বাবা আশিক খান বলেন, ‘আমার ছেলে প্রথমে ইন্দোর কল্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতো। এরপর অময় খুরসিয়া অ্যাকাডেমি থেকে তাকে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্ব থেকে বাদ পড়ে ভারত। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মরুর দেশে উড়াল দিলেও ফিরেছেন খালি হাতেই। কোচ রবি শাস্ত্রী সহ পুরো কোচিং প্যানেলেই আসছে বদল।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাটা আগেই দিয়েছিলেন বিরাট। বিশ্বকাপে এমন ভরাডুবির পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার্শাল প্যাটেল, আবেশ খানদের সুযোগ দিতে চায় নির্বাচকরা। আবেশ, হার্শাল ছাড়াও সুযোগ পেয়েছেন আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম করা ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রুতুরাজ গাইকড়রা। একই সাথে দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সিরাজও।
২০১৭ সালে মধ্য প্রদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। পরের বছর ২০১৮ সালে আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে দল পান তিনি। আইপিএলে খেলেছেন মাত্র ২৫ ম্যাচ! এর মধ্যে চলতি আসরে ১৬ ম্যাচে ৮.২৩ ইকোনমিতে শিকার করেছেন ২৪ উইকেট!
আইপিএলে অভিষেকের মাত্র তিন বছরের মাথায় আবেশ জায়গা করে নিলেন স্বপ্নের জাতীয় দলে। স্বপ্নের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে বেশ খুশি আবেশ। আপাতত লক্ষ্য একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার।