বৃষ্টির দিনে ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। দৌড়ে এসে নিজেকে ছুঁড়ে দিলেন বৃষ্টিভেজা কাভারের মধ্যে। এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে গড়াগড়ি খেলেন। এই ছিল আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের দৃশ্য। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় খেলা মাঠে গড়িয়েছে মাত্র ছয় ওভার। তবুও নিয়ম রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।
আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। ফলে বারবার পিছানো হচ্ছিল খেলা শুরু হওয়ার সময়। শেষ পর্যন্ত দুই দল মাঠে নেমেছিল দুপুরের দিকে। খেলা হয়েছে মাত্র ৬ ওভার দুই বল। বৃষ্টির কারণে সারাদিন পিচ ঢাকা ছিল। ফলে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের দুই পেসার তা ব্যবহার করতে পারেননি এতটুকুও।
যতটুকু খেলা হয়েছে খুব সহজ ভাবেই ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের বোলাররা নূন্যতম কোন চাপও তৈরি করতে পারেননি। বাংলাদেশের পেসারদেন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানের পেসাররা যেটা করতে পেরেছে আমাদের পেসাররা সেটা পারছেনা। আজ পেসাররা কোন ফায়দাই তুলতে পারেনি। আমার মনে হয় আমাদের পেসাররা মানসিকতায় পিছিয়ে আছে।’
ওদিকে এই মাসেই নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে পেসারদের উপর থাকবে বড় দায়িত্ব। তবে টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের পারফর্মেন্স খুব একটা সুখকর না। ফলে নিউজল্যান্ডে যাওয়া পেসারদের নিয়ে এই কোচ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সেরা পেসারদের নিয়েই নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছি। টেস্টে এবাদত আস্তে আস্তে ভালো করছে। এছাড়া শহিদুল, খালেদরা আছে। ওদিকে তাসকিন, শরিফুলরা দলের সাথে যাবে।’
বাংলাদেশের সেরা টেস্ট পেসাররা নিউজিল্যান্ড দলে থাকলেও তাঁদের মান নিয়ে আছে প্রশ্ন। একমাত্র তাসকিন আহমেদই পেসারদের মধ্যে ছন্দে আছেন। এছাড়া রাহি, এবাদত, শহিদুল, খালেদ কেউই নিজেদের এখনো সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। তরুণ পেসার শরিফুল অবশ্য সম্ভাবনার আলো দেখাচ্ছেন।
পেসারদের মান নিয়ে মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, ‘ওরা আস্তে আস্তে ভালো করছে। হয়তো একটু সময় লাগবে। দল একটু খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে নাম্বার যদি দিতে বলেন আমি বাংলাদেশের পেসারদের দশে ৫-৬ দিব।’
ওদিকে কঠিন সফর সামনে থাকলেও ছুটির জন্য আবেদন করেছেন সাকিব আল হাসান। ফলে নিউজিল্যান্ডে সাকিবকে দলে না পাওয়ারও আছে জোর সম্ভাবনা। এই নিয়ে দল কতটা চিন্তিত সেই প্রশ্ন করলে বাবুল বলেন, ‘আসলে যারা যাচ্ছে আমরা তাঁদের নিয়েই চিন্তিত। তাঁরা কী করে ভালো করতে পারে আমরা সেটা নিয়েই ভাবছি। সাকিব না গেলে তাঁকে নিয়ে আসলে ভাবার সুযোগ দেখিনা। হ্যাঁ, সাকিব বা সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকলে আমাদের দল আরো শক্তিশালী হতো। তবে না গেলে আর কী কররা।’
সবমিলিয়ে টেস্ট, টি-টোয়েন্টি কোন ফরম্যাটেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। টানা হারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বাবুল জানিয়েছেন দলের সবাই মানসিক ভাবে পজিটিভই আছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। তবুও আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জেতার জন্যই মাঠ নামতে চাই। সবমিলিয়ে দলের সবাইও পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছি।’