ঢাকায় তিন পাণ্ডব

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ড্রাফটের আগের ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নাটক কম হয়নি। গত ২২ ডিসেম্বর বিসিবি অফিসিয়ালি যে মালিকপক্ষের কথা জানিয়েছিল, তাদের নাম কাটা গেছে। মূলত, আর্থিক গ্যারান্টি দিতে না পারায় তাদের মালিকানা বাতিল করে বিসিবি। রাতভর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন মালিকানা খুঁজছিল, শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

অনেকটা নিরুপায় হয়ে বিসিবি নিজেই ঢাকা স্টার্স দলের আপাতত দায়ভার নিয়েছে। যদিও, ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেলে তাঁদের ড্রাফট অনুষ্ঠানটা বেশ ভালই যাচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁরা তিনি সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিজেদের করে নিয়েছে। তাঁরা হলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, টি-টোয়েন্টি দলের বর্তমান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এর মধ্যে রিয়াদকে ড্রাফটের আগেই নিশ্চিত করে তাঁরা। ড্রাফট থেকে ঢাকা দল আরো নিয়েছে শুভাগত হোম ও পেসার রুবেল হোসেনকে।

তামিম ও রিয়াদ – দুজনই লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন জাতীয় দলকে। তবে, সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় থেকে বাতাসে গুঞ্জন – সম্পর্কটা ভাল যাচ্ছে না দু’জনার। বিশেষ করে কেউ কেউ দাবি করেন – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নাকি নিজেই বিশ্বকাপ দলে চাননি তামিম ইকবালকে।

বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেছিলেন, তরুণদের সুযোগ দিতে তিনি বিশ্বকাপ খেলছেন না। দীর্ঘদিন এই ফরম্যাটে ছিলেন না বলে যারা ছিলেন তাঁদের সুযোগ দেওয়াকেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছিলেন তিনি।

আবার আরেকটা খবর পাওয়া যায়, নির্বাচকরা যখন দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে বসেন – তখন রিয়াদ নাকি তামিমের ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহ দেখাননি। বলা হয়, রিয়াদের এই অনাগ্রহের ব্যাপারটা টের পেয়েই তামিম বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নেন।

বলাই বাহুল্য বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। টপ অর্ডারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে যথেষ্টই। তখনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, তামিম-রিয়াদের মধ্যে কোনো তিনি কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা দেখেন না। আসলে কি হয়েছিল? দ্বন্দের কোনো সত্যতা কি আছে? নাকি পুরোটাই গুজব?

মিরপুরে এখন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সংখ্যা সামান্যই। কারণ, দল নিউজিল্যান্ডে। তবে, টেস্ট দলের বাইরে থাকারা মিরপুরে আসেন অনুশীলন করতে। সেখানে তামিম ইকবাল আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখন নিয়মিত মুখ। যদিও, তাঁদের এক সাথে দেখে ফেলে আসা দিনের কোনো দ্বন্দের আভাস খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর এবার তাঁরা একই দলের হয়ে খেলবেন বিপিএলও।

মাশরাফি, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ – তিনজনই এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন ‘এ’ ক্যাটগরিতে। এই ক্যাটেগরির পারিশ্রমিক ৭০ লাখ টাকা। জানিয়ে রাখা ভাল, বিপিএলের অষ্টম আসর শুরু হতে এখনও মাসখানেক সময় বাকি। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট – তিন ভেন্যুতে ছয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ হবে আসছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link