সাদা চোখে অ্যালবি মরকেলকে পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার কোনো কারণ খুজে পাওয়া মুশকিল। সেই ২০০৮ সালে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ ছক্কা মারা ছাড়া ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন কিছু করেছেন, বলে শোনা যায়নি। কোচিং ক্যারিয়ারও খুব সমৃদ্ধ নয়।
তাহলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে কেনো নিয়োগ পেলেন এই মরকেল ভাই?
প্রথমত ক্রিকেট দল এটাকে নিয়োগ হিসেবে দাবি করছে না। মরকেল এখন ফ্রি আছেন, তাই তাকে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজের আগে কয়েকটা সেশন করিয়ে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে বড় সমস্যা যেহেতু পাওয়ার হিটিং, তাই এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে চায় দল।
কিন্তু যে কেউ কী এভাবে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে কাজ চালাতে পারে?
এই প্রশ্নের মীমাংসা করার আগে আমাদের মরকেলের ইতিহাসটা একটু ঘুটে দেখতে হবে। মরনে মরকেলের এই ভাইটা খেলোয়াড়ী জীবনে মোটেও বলার মত কিছু করতে পারেননি। ছিলেন মাঝারি মানের অলরাউন্ডার। একটি টেস্ট, ৫৮টি ওয়ানডে ও ৫০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাতে খুব উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই।
তবে একটা জিনিস দেখলে একটু ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। ৫০টি ওয়ানডে খেলেও অ্যালবির স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৪২.২৮। তার মানে, জোরে পেটাতে পারতেন।
আইপিএলেও কখনো কখনো এই পেটাতে পারার সামর্থটার প্রমাণ রেখেছেন। ২০০৮ সালে প্রজ্ঞান ওঝানে ১২৮ মিটারের এক ছক্কা মেরেছিলেন। এ ছাড়াও এই ফরম্যাটে তার কিছু ঝড়ো ইনিংস আছে।
মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে মরকেলকে প্রথম পছন্দ করেছিলেন কেপলার ওয়েসেলস। এরপর কোচ রে জিনিংস মূলত তার হিটিং এবিলিটি নিয়ে কাজ করেন। ফলে ভাইয়ের মতো বোলার না হয়ে তিনি হয়ে ওঠেন অলরাউন্ডার; যে কি না নির্দয়ভাবে বল পেটাতে পারে।
প্রশ্ন হলো, কোচ হিসেবে কী মরকেল নিজের এই গুনটা নিয়ে কাজ করতে পেরেছেন?
সেটা এখনও প্রমাণিত কিছু না। তবে নামিবিয়ার মত কিছু দলের সাথে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও। তাতে বোঝা যায়নি মরকেল আসলে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে কতটা ভালো করবেন।
এবার তার সামনে ভালো একটা সুযোগ। বাংলাদেশ দলের সাথে শুধু এই ওয়ানডে সিরিজটায় কাজ করবেন। এখানে একটু নজর কাড়তে পারলে হয়তো পাঁকা একটা চাকরিও হয়ে যেতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ দলও অনেকদিন ধরে এই জায়গাটায় কাউকে খোজ করছে।
কে জানে, বাংলাদেশ দলে আরও একজন দক্ষিণ আফ্রিকান স্থায়ী হয়ে যাবেন হয়তো।