হলাম সূর্যাস্তের লাল আভা

সময়টা ২০০৫!  প্রশিক্ষণ সফরের জন্য দেশের একদল তরুণ ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়া পাঠায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই দলের সাথে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইটে চড়েন বাংলাদেশের  পেসার সৈয়দ রাসেলও। তখন অবশ্য তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ায় জন হারবার নামের একজন ভদ্রলোকের তত্ত্বাবধানে রাসেলরা প্রশিক্ষণ নিতেন এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ব্যক্তিগত কোচ ছিলেন। তো প্রশিক্ষণ সফরের একদিন সৈয়দ রাসেল সকাল বিকাল দু’বেলা বল করে জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে চার বার আউট করেন।

জাস্টিন তখনও  খেলার মধ্যে ছিলেন এবং সময়ের সেরা সেরা বোলাররা সেসময় তাকে আউট করতে খাবি খেতেন। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ না পাওয়া ২১ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি তরুণ তাঁর সুইংয়ের জাদুতে অনায়াসে জাস্টিনকে দিনে ৪ বার আউট করে বসলেন। নিশ্চয়ই চাট্টিখানি ব্যাপার ছিল না সেটা!

অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ সফর শেষে দেশে ফেরার কয়েকদিন পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ডাক পান সৈয়দ রাসেল। এবার মাঠে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্যের স্বাক্ষর রাখার পালা রাসেলের। যথারীতি তাই হলো!

২০০৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে কাউন্টি ক্লাব কেন্টের বিপক্ষে এক ইনিংসে মাত্র ৫০ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট, পুরো ম্যাচে ১০ উইকেট এবং পুরো সফরে সর্বমোট ২০ উইকেট নিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর নজর কাড়েন তিনি। ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ পরের মাসেই তিনি ডাক পেয়ে যান জাতীয় দলে। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে, টেস্ট উভয় সংস্করণে অভিষেক হয় সৈয়দ রাসেলের।

তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয় ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে। শুরুটাও ছিল ভালো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমে ১০ ওভারে ৪২ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। তবে এ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা হতে পারত ৪! ম্যাচে তাঁর বলে ২টি ক্যাচ ড্রপ হয়। তা না হলে বাধিয়ে রাখার মত একটা অভিষেক হতো রাসেলের। এক্ষেত্রে তাঁর ভাগ্য খারাপ ছিল বলাই যায়। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে ১টি উইকেট লাভ করেন তিনি।

তৃতীয় ম্যাচে তো নিজের ব্যাক্তিগত ১০ ওভারের কোটাই শেষ করতে পারেননি রাসেল। কারণ তাঁর আগেই শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি নিজেদের করে নেয়। সেই ম্যাচে তিনি ৫ ওভার বল করে উইকেটবিহীন ছিলেন । সিরিজে  বাংলাদেশিদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলেন তিনি।

ওয়ানডে সিরিজে বল হাতে ভালো করায় নির্বাচকরা তাঁর ওপর ভরসা রাখেন। ফলে টেস্ট দলেও ডাক পেয়ে যান তিনি। ২-ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগে ৩ দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই একাদশে জায়গা করে নেন সৈয়দ রাসেল। ওয়ানডের মত অভিষেক টেস্টেও তিনি তুলে নেন দু’টি উইকেট।

আর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংটি করেন তিনি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে। বল হাতে সেই ম্যাচে একাই তুলে নেন ৪ উইকেট যেখানে তাঁর শিকার জয়সুরিয়া, সাঙ্গাকারা ও সামারাবিরাদের মত ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কা সফরটা রাসেলের জন্য বেশ সুখকর হলেও দলের জন্য ছিল একদম হতাশার। ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্টের সবগুলো ম্যাচ হেরে খালি হাতে ঘরে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

নিজের অভিষেকের পর বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া বাংলাদেশের বেশকয়েকটি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রাখেন সৈয়দ রাসেল। তবে এসব জয়ের অধিকাংশ ম্যাচেই দলের অন্যান্যদের পারফরম্যান্সের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় তাঁর  অবদান। এই যেমন, ২০০৬ সালে বগুড়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডের কথা ধরা যাক।

এটি ছিল ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের ম্যাচ। সেই ম্যাচে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ২১২ রানে আটকাতে সাহায্য করেন রাসেল। কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে আফতাব আহমেদের ম্যাচ জেতানো ২১ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের আড়ালে থেকে যায় ম্যাচে বল হাতে  রাসেলের অবদান।

পরের বছর ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাশরাফির আগুনঝরা বোলিংয়ের পাশাপাশি রাসেলের কৃপন বোলিংয়ের কারণেই ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা প্রথম ৩০ ওভারে মাত্র ৯০ রান তুলেতে পেরেছিলেন। ওই ম্যাচে ১০ ওভারে রাসেল দিয়েছিলেন মাত্র ৩১ রান। কিন্তু ম্যাচে মাশরাফি ৪ উইকেট তুলে নেয়ায় রাসেলের পারফরম্যান্স খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।

একই বছর উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথম ওভারেই আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইলকে শূণ্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান রাসেল। ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৪-১-১০-১ যা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বিশ্বকাপের মত মঞ্চে এককথায় অবিশ্বাস্য! কিন্তু বরাবরের মত সেই ম্যাচেও তাঁর এই পারফরম্যান্স অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়। ব্যাট হাতে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২৭ বলে ৬১ রানের ম্যাচজেতানো ইনিংসের আড়ালে ঢাকা পড়ে রাসেলের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ও ‘এ’ দলের সিড়ি ভেঙে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে তবেই জাতীয় দলে প্রবেশ করেন খুলনার সৈয়দ রাসেল। ২০০১ সালে নিজ বিভাগ খুলনার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। উইকেট যেমনই হোক ম্যাচের শুরু থেকে আটসাট বোলিং, বাঁহাতি মিডিয়াম পেসের সাথে উইকেটের দু’দিক থেকে সুইং করানো, নিখুঁত লাইন ও লেন্থে ক্রমাগত বল করে যাওয়া, দলকে দ্রুত ব্রেকথ্রু এনে দেয়া এবং অতি কৃপন বোলিংয়ে  প্রতিপক্ষের রান আটকানোতে খুব দক্ষ ছিলেন এই মিডিয়াম পেসার।

বলে তেমন গতি না থাকলেও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে আউটসুইং ও ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে ইনসুইংটা বেশ ভালো করাতে পারতেন তিনি। অভিষেকের পর থেকে জাতীয় দলের পেস বিভাগে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠলেও লাল সবুজের জার্সি গায়ে রাসেল খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫ বছর। এর পেছনে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে।

সৈয়দ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন লম্বা সময় আগে। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পর তিনি দল থেকে বাদ পড়ে যান। সেই সময় অনেকটা অন্যায়ভাবেই দল থেকে বাদ দেয়া হয় রাসেলকে। কারণ এই বাদ পড়ার পেছনে পারফরম্যান্সের চেয়ে তাঁকে কোচের অপছন্দ করার বিষয়টি বেশি কাজ করেছে।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর দল থেকে ছিটকে যান রাসেল। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৭ উইকেটে। ওই ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৫৩ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট পান রাসেল। কিন্তু তাঁর এই পারফরম্যান্স দল থেকে বাদ পড়ার মত এতটা বাজেও ছিল না। সেই ম্যাচে একমাত্র মাশরাফি বাদে দলের কোন বোলারই ভালো করতে পারেননি।

ম্যাচে রাসেল প্রথম ২ ওভারের স্পেলে একটু খরুচে ছিলেন। উইকেটবিহীন থেকে রান দিয়েছিলেন ২১ রান। কিন্তু পরবর্তীতে বল হাতে তিনি দারুণভাবে কামব্যাক করেন। পরের ৭ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান তিনি। তারপরেও বাজে বোলিংয়ের দোহাই দিয়ে রাসেলকে পরের ম্যাচে বসিয়ে রাখা হয়। এটা মূলত কোচের সেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত।

রাসেলের বলে খুব বেশি গতি ছিল না বিধায় তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্সের পছন্দের তালিকায় তিনি কখনোই ছিলেন না। যে কারণে অনেকসময় ভালো করলেও তাকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখা হতো। তখনকার নির্বাচকরাও জাতীয় দলে ফেরত আসার জন্য তাকে বলের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। অথচ কম গতিতে বল করেও নিখুঁত লাইন লেন্থের ওপর ভর করে ভালো করে যাচ্ছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬ টেস্টে ১২, ৫২ ওয়ানডেতে ৬১ এবং ৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪ উইকেট সংগ্রহ করেছেন সৈয়দ রাসেল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৫ বছরের পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ছিল ইনজুরির বাগড়া। খেলা শুরু করার বছর দুয়েকের মধ্যেই দু’বার ইনজুরির কবলে পড়েন তিনি। ২০০৬ সালে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় তাঁর পা যখম হয়।

যদিও পরবর্তীতে খুব দ্রুতই তিনি সেরে উঠেছিলেন এবং এ ইনজুরি তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারপর ২০০৭ সালে তাঁর বাঁ-কাঁধে চোট দেখা দেয়। কিন্তু, বিসিবি থেকে এ চোট সারানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি তখন। তাই চোট নিয়েই দিনের পর দিন বোলিং করে গেছেন রাসেল। ৮ বছর এই চোট বয়ে আনার পর অবশেষে ২০১৫ সালে এসে থামেন তিনি।

চোটের কারণে তখন বোলিং করাটাই তাঁর জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপর ওই বছর ভারতে নিয়ে তাঁর কাঁধের অপারেশন করিয়ে আনে বিসিবি। অপারেশনের পর প্রায় ২ বছর বল করতে পারেননি তিনি। পরে একসময় দেশের চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পারেন অপারেশন আবার নতুন করে করাতে হবে কারণ পূর্বের অপারেশন সফল হয়নি।

দ্বিতীয় দফায় অপারেশনের জন্য বিসিবির সাহায্যের অপেক্ষায় বেশ কয়েকমাস পার করে ২০১৭ সালে শুরুর দিকে নিজ উদ্যোগেই মুম্বাই গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন সৈয়দ রাসেল। তবে এবার আর অপারেশন করতে হয়নি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে শুধু ওষুধ দিয়ে দিয়েছিলেন।

এরপর তিনি গ্রোয়েন ইনজুরিতে ভুগেছেন। তবে, বোলিংয়ে সমস্যা ছিল না। ফিরেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দেখা গেছে। পরে তাঁকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করতেও দেখা গেছে।

বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি পেসার হিসেবে সৈয়দ রাসেলকে আখ্যায়িত করলে বোধহয় খুব বেশি ভুল হবে না। তিনি যখন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান তখন একজন বাঁহাতি পেসারের অভাবে ভুগছিল পুরো দল। সৈয়দ রাসেল এসে সেই অভাব লাঘব করেন। তিনি ছিলেন বেশ পরিশ্রমী ক্রিকেটার। তিনি যখন খেলতেন তখন দেশের পেসারদের খুব বেশি মূল্যায়ন করা হতো না।

একাদশে তিন পেসার খেলানোটা ছিল সেইসময়ের বিচারে এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত! হোক আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, স্পিনারদের কথা মাথায় রেখে তখন সবসময় স্পিনবান্ধব উইকেট তৈরি করা হতো বাংলাদেশে।  পেসারদের জন্য উইকেটে কিছুই থাকত না। এমনকি শীতকালে পর্যন্ত উইকেট থেকে বাড়তি কোন সুযোগ পেত না তাঁরা। এইসব উইকেটে দিনের পর দিনের খেলার কারণে পেসাররা প্রায়ই ইনজুরিতে আক্রান্ত হতো।

এমনকি শারীরিকভাবে শেষ হয়ে গেছেন দেশের অনেক প্রতিভাবান পেসার। তবে বাঁ কাঁধে চোট থাকা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে বাংলাদেশের মরা উইকেটগুলোতে বল হাতে আলো ছড়িয়ে গেছেন রাসেল। সুইংয়ের বিষে বিদ্ধ করেছেন সময়ের সেরা সেরা ব্যাটসম্যানদের। সুইং করাতে তাঁর মত দক্ষ বোলার বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি ছিল না তখন।

যদিও জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় নিজের প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন পাননি তিনি। ইনজুরি ও বিসিবির অবহেলায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি সৈয়দ রাসেলের। এসব কারণে আগেভাগেই আমরা হারিয়েছি আমাদের ‘চামিন্দা ভাস’কে। হ্যাঁ, ‘চামিন্দা ভাস’! ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার সেই প্রশিক্ষণ সফরে জাস্টিন ল্যাঙ্গার রাসেলের সুইংয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকে চামিন্দা ভাসের সাথে তুলনা করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link