বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতার কিংবদন্তী দিলু খন্দকার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাথে কথা বলেছিলেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। আদ্যোপান্ত ম্যারাডোনাভক্ত এই মানুষটি খেলা ৭১ এর সাথে কথা বলেছেন নিজের ম্যারাডোনা অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এই সাক্ষাতকারে তিনি ম্যারাডোনার মূল্যায়ন করেছেন এবং গল্প শুনিয়েছেন।
দিলু ভাই, ম্যারাডোনার এই চলে যাওয়াটা আপনার জন্য নিশ্চয়ই খুব শোকের ব্যাপার?
যে কোনো মৃত্যুই তো অপূরনীয় ক্ষতি। সে আমার-আপনার পরিবারের সদস্য হোক বা কোনো কিংবদন্তী খেলোয়াড় হোক। মৃত্যু মাত্রেই শোকের ব্যাপার। আর ম্যারাডোনা তো সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার মৃত্যুতে তো পুরো বিশ্ব যে শোকস্তব্দ হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি জীবনভর যে ফুটবল খেলেছেন, তার ফুটবল শৈলী পৃথিবীর মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছিলো, মোহিত করে রেখেছিলো। তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যু তো মেনে নেওয়া কঠিন। এরকম সর্বকালের সেরা ফুটবলারের প্রয়ান পুরো বিশ্বের জন্য একটা ধাক্কা। সেই শোক সামলে উঠতে সময় লাগবে। এটা কিন্তু শুধু আর্জেন্টিনার মানুষের জন্য নয়, এই সুদূর বাংলাদেশের মানুষের জন্যও সমান শোকের ব্যাপার।
আপনি বলছেন-সর্বকালের সেরা ফুটবলার। এটা কী অবিতর্কিতভাবে আমরা বলতে পারি?
তিনি তো সর্বকালের সেরা ফুটবলার। দেখুন, ম্যারাডোনা এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি কেবল মাঠে ফুটবল খেলেননি। মাঠটাকে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন। যা করতে চেয়েছেন, তাই করে দেখিয়েছেন। সেটা ক্লাব দল নাপোলির জার্সি গায়েই হোক আর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে হোক। ম্যারাডোনা জন্মেছিলেন এক দরিদ্র পরিবারে। সেখান থেকে উঠে এসে সারা বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়েছেন।
পেলে, মেসি বা রোনালদোর সাথে তুলনা করে যে বিতর্ক…
দেখুন, বিতর্ক থাকবেই। ম্যারাডোনা সর্বকালের সেরা কি না, সে নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমি তাকে নিজে খেলতে দেখেছি, আমি বিশ্বের সেরা সেরা ফুটবল পণ্ডিতদের সাথে আলাপ করেছি। আমি নি:সন্দেহ যে, ম্যারাডোনা সর্বকালের সেরা ফুটবলার। দেখুন, ফিফা যখন সর্বকালের সেরা ফুটবলারের জন্য জরিপ করলো, তখন কিন্তু ম্যারাডোনাই সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কিন্তু পেলে তো নিজেকে সেরা দাবি করেন।
ম্যারাডোনা নিজেও বহুবার বলেছেন, তিনি নিজেকে সেরা মনে করেন। পেলে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ম্যারাডোনা বলেছেন যে, পেলেকে আরেকবার জন্ম নিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে। নাপোলির মতো কোনো একটা ক্লাবকে টেনে তুলে ইউরোপ সেরা বানাতে হবে। একা একটা জাতীয় দলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে হবে। তারপর শ্রেষ্ঠত্বের আলাপ করা যাবে। হ্যাঁ, পেলেও বলেছেন যে, ম্যারাডোনাকে তিন বার বিশ্বকাপ জিতে এসে তবে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে হবে। এই বিতর্ক থাকবে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরও থাকবে। এটাকে আমি ফুটবলের অসাধারণ সৌন্দর্যের একটা অংশ মনে করি।
দিলু ভাই, আপনি কেবল শীর্ষ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক নন; সেরা ম্যারাডোনা ভক্তও। আপনার এই ম্যারাডোনার প্রতি ভালোবাসার শুরু কিভাবে?
আমরা তো খুব ছোট বয়স থেকেই ঢাকার ফুটবল দেখতাম। ষাটের দশক থেকে ফুটবল দেখছি। আমার আব্বু চাকরি করতেন ইপিআইডিসিতে। ইপিআইডিসি তখন চ্যাম্পিয়ন দল করতো। সেরা সেরা ফুটবলাররা এই দলে খেলতেন। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্সকে হটিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। সেখান থেকে আমার ফুটবলের নেশা বলতে পারেন। এরপর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালটা বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখিয়েছিলো। জার্মানি ও হল্যান্ড ফাইনাল খেললো। সেখানে জার্মানি নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলো। আমরা বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলারের খেলা দেখে তাঁদের ফ্যান হয়ে গেলাম। তখন ইউরোপিয়ান ফুটবলের ফ্যান হয়ে গেলাম আমরা।
এরপর লাতিন ফুটবলে ঝুঁকে গেলেন…
শুরুটা হলো আসলে ১৯৮২ বিশ্বকাপের আগেই। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা যখন প্রথম বিশ্বকাপ জিতলো, তখনই ম্যারাডোনার নাম শোনা যাচ্ছিলো। আমরা পত্রপত্রিকায় পড়ছিলাম। পরে ম্যারাডোনা বলেছেন, তাকে ওই বিশ্বকাপে না নিয়ে সিজার মেনোত্তি তার প্রতি অবিচার করেছেন। ম্যারাডোনা যখন যুব বিশ্বকাপ জিতলেন ১৯৭৯ সালে, ততোদিনে তো তিনি আলোচিত তারকা হয়ে গেছেন। আমরা শুনে শুনে এবং পড়ে পড়ে জানছিলাম যে, লাতিন আমেরিকা থেকে একজন ফুটবলার উঠে আসছে যে, অলটাইম গ্রেট হতে পারে। আমরা তখন অপেক্ষায় ছিলাম তাঁর জন্য।
প্রথম দেখলেন তো ১৯৮২ বিশ্বকাপে?
ওখানে খুব বেশী খেললেন না। যা দেখেছিলাম, তাতেই বোঝা গেলো, তিনি সেরা হতে এসেছেন। বিশেষ করে আমার ভালোবাসাটা তৈরী হলো ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। খেলাটা দেখালো টিভিতে। তিনি যখন লাল কার্ড দেখলেন, ওটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পুরো ম্যাচ জুড়ে তাকে অবর্ননীয় ফাউল করা হলো। এরপর তিনি একটু প্রতিক্রিয়া দেখাতেই তাকে লাল কার্ড দেখানো হলো। এটা সিমপ্যাথি, একটা ভালোবাসা তৈরী হলো।
এরপর তো সেই ছিয়াশি।
হ্যা, সেটা তো ম্যারাডোনার একক বিশ্বকাপ। বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, সারা দুনিয়া এক ম্যারাডোনাময় এক বিশ্বকাপ দেখলো। তার এই অসামান্য একক খেলা তাঁকে সারা পৃথিবীতে নায়ক বানিয়ে দিলো। এই বাংলাদেশেও তার ঢেউ এসে পড়লো। আমি মনে করি, আজ পৃথিবী ও বাংলাদেশ জুড়ে যে ম্যারাডোনা ও আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা, তার মূলে ওই ছিয়াশি বিশ্বকাপ।
চুরানব্বইতে এসে তো সামনাসামনি দেখলেন, স্পর্শ করলেন এবং কথা বললেন। এই অনুভূতি ও গল্পটা একটু যদি বলতেন…
চুরানব্বইতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের জন্য যখন অ্যাক্রিডেশন পেলাম, তখনই মনে হলো যে, আমার প্রথম কাজটাই হবে, ম্যারাডোনাকে দেখা। এতোদিন ম্যারাডোনার খেলা টেলিভিশনে দেখেছি, রিপোর্ট লিখেছি; এবার আরেকটা বিরাট সম্ভাবনা। ম্যারাডোনার খেলা প্রেসবক্সে বসে দেখবো, রিপোর্ট লিখে পাঠাবো। আমি খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম। বস্টনে গ্রীসের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিলো আমার ম্যারাডোনাকে প্রথম সরাসরি দেখতে পাওয়া ম্যাচ। বাতিস্তুতা হ্যাটট্রিক করলেন। ম্যারাডোনা নিজে একটা অপার্থিব একটা গোল করলেন। বাম পায়ের নানন্দিক একটা গোল যাকে বলে। সেটা দেখে আমার মনে হলো, আসাটা ধন্য হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাতিস্তুতাকে অসাধারণ বল ভাসিয়ে দিয়ে একটা গোল করালেন।
কথা বললেন কী এই ম্যাচের পর?
হ্যা, পরের দিন ওখানে বোস্টন কলেজ মাঠে ওদের অনুশীলন ছিলো। আমরা প্রেসবক্সে বসেই প্লান করছিলাম, যাওয়া যায় কি না। আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিকের সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছিলো, সে আমাকে বললো, তুমি ম্যারাডোনার সাথে কথা বলতে চাইলে কালকে এসো। আমি আর ভারতের সাংবাদিক রূপক সাহা হাজির হয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি, হাজার খানেক সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে আছেন। কে কার আগে যাবে, সেই নিয়ে প্রতিযোগিতা। আমরা খানিক অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি বললো, আর্জেন্টিনা ম্যানেজমেন্ট মিডিয়া এলাউ করেছে। আমরা ভেতরে ঢুকলাম। ঢুকে দেখি, বিয়েলসা তার খেলোয়াড়দের নিয়ে হালকা অনুশীলন করছে। বিভিন্ন তারকাকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ম্যারাডোনাকে দেখা যাচ্ছিলো না। আমি আর রূপক সাহা বলাবলি করছিলা, তাহলে এসে লাভ কী হলো! সেই সময় লেভনস্কি, সেই আর্জেন্টিনাইন সাংবাদিক এলো। ও বললো, ‘ঘাবড়িও না। দিয়েগো আসবো। তুমি আমার কাছাকাছি থাকো।’
হঠাৎ দেখি মাঠের একটা ঢালু একটা দিকে সব সাংবাদিক ভিড় করেছেন। আমরা এগিয়ে গেলাম। দেখলাম, ম্যারাডোনা বেরিয়ে এসেছেন। আগের দিন ম্যাচে যে ১০ নম্বর জার্সি পরা। ডান হাতে একটা টেনিস বল জাগলিং করতে করতে এগিয়ে এলেন।
আপনার প্রতিটা দৃশ্য মনে আছে!
হ্যা, উনি ঢুকতেই ‘দিয়েগো দিয়েগো’ একটা রব উঠলো। আমাদের সামনে থেকে হেটে গেলেন। একটা টেলিভিশন অপেক্ষা করছিলো। তাদের সাথে সাক্ষাতকার দিলেন। আমাদের থেকে হাতছোয়া দূরত্বে দাড়িয়ে আছেন। টেনিস বলটাকে বাম থাইয়ের ওপর ব্যালান্স করতে করতে কথা বলছিলেন। চারদিকে সব চুপচাপ। শুধু শত শত ক্যামেরার মিনিটে শত শত ছবি তোলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলো। ইন্টারভিউ শেষ করে চলে যাচ্ছিলেন। আমাদের পাশ থেকে অনেকেই ‘দিয়েগো, দিয়েগো’ বলে ডাক দিলেন। উনি এসে ঠিক আমার সামনেটায় দাড়ালেন। এক আর্জেন্টিনার সাংবাদিককে জড়িয়ে ধরলেন। আমার সামনে তখন দাড়িয়ে জগৎসেরা ফুটবলার। আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু তাকিয়ে আছি। কথা বলতে পারছি না। আমাকে পাশ থেকে লেভনস্কি বললো, ‘তুমি কিছু জিজ্ঞেস করো?’
কথা বলতে পারলেন? আপনি তো ছুয়ে দেখেছিলেন?
আমি কথা বলবো কী! আমি তো শুধু তাকে দেখছি। আমি স্রেফ হাতে একটা আর্জেন্টিনার সুভেনির ছিলো, ওটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, ‘অটোগ্রাফ’। উনি অটোগ্রাফ দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। তখন আমি ওনার বাম হাতের মাংসপেশীটা ধরে একটা চাপ দিলাম। উনি আমার দিকে না ফিরেই একটু হাসলেন। এবার আরেকটু জোরে চাপ দিলাম। উনি পেশীটা আরেকটু শক্ত করলেন। দুই হাতে ধরে চাপ দিলাম। এক বিন্দু পেশীটা দাবাতে পারলাম না। উনি হাসছেন। এর মধ্যে তিনটে প্রশ্ন করলাম-এই বিশ্বকাপে কতদূর যেতে চান। উনি বললেন, আর্জেন্টিনা সবসময় বিশ্বকাপটা জয় করার জন্য। এরপর আরেকটা প্রশ্ন করতে গেলে আমাকে থামিয়ে পাশে এক সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে বললেন। আমি দেখছিলাম আর ওনার কথা শুনছিলাম। আফসোস হয়, তখন তো মোবাইল ফোন ছিলো না। একটা সেলফি অন্তত তুলতে পারতাম।
তারপরও আপনার একটা ছবি তার সাথে দেখা যায়।
হ্যা, আইরিশ এক সাংবাদিক ওটা তুলে দিয়েছিলেন। অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় ছবিটা তুলে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া একটা ছবি আমি তুলেছিলাম। এই সময়টা খুব মনে পড়ছে আজ থেকে।
এরপর তো ওই বিশ্বকাপেই তার নিষিদ্ধ হওয়ার খবর পেলেন।
ভয়াবহ শকিং ছিলো সেটা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটাও দেখলাম। খুব ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ওই ম্যাচে। ম্যাচশেষে খুব বাজে একটা মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর তো পজেটিভ হলেন। তখনই কিন্তু তিনি বলে দিয়েছিলেন, আমার বিরুদ্ধে এটা ফিফার ষড়যন্ত্র। সারা পৃথিবী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলো। দেশ থেকে খবর পাচ্ছিলাম, দেশে অনেক মিছিল হচ্ছে।
আপনি তো ফিফা সভাপতিকে এটা বলেছিলেন।
হ্যা। সংবাদ সম্মেলনে আমি ফিফা সভাপতি হ্যাভেলাঞ্জকে বলেছিলাম, তুমি কী জানো যে, বাংলাদেশে পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে। তোমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলাও হয়েছিলো। হ্যাভেলাঞ্জ স্রেফ বলেছিলো, আই ডোন্ট বদার।
এরপর আপনি ম্যারাডোনাকে কয়েক বার দেখেছেন। কোচ ম্যারাডোনার প্রেস কনফারেন্সও কাভার করেছেন।
এরপর প্রতিটা বিশ্বকাপে আমি তাকে কোনো না কোনো রূপে দেখেছি। কথা হয়নি কখনো। তবে ২০১০ বিশ্বকাপে আবার সামনাসামনি হয়েছিলাম। দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের সময় আমাদের বসার জায়গা ছিলো ঠিক আর্জেন্টিনার ডাগ আউটের পেছনে। ম্যারাডোনার প্রতিটা কথাও শুনতে পেতাম আমরা। জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন প্রেস কনফারেন্সের টিকিট পেয়েছিলাম। শুনলাম ম্যারাডোনা আসবেন। আগে আগেই গেলাম। একেবারে সামনের সারির দ্বিতীয় চেয়ারে বসলাম। তবে হাত তুলে রাখলেও প্রশ্ন করতে পারিনি।
গত বিশ্বকাপেও তো দেখলেন।
হ্যা। মাঠে এসেছিলেন। চেহারাটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। একদিন অসুস্থ হয়েও পড়েছিলেন। গত কয়েক বছর তো হাসপাতালে এই যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন। তারপরও গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন রাশিয়াতে। আজ এই সময়ে আমার সবগুলো স্মৃতি খুব করে মনে পড়ছে।