জিতলেই গ্রুপের বাকি দলগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে দল। একক ভাবে শীর্ষে তো উঠবেই সেমিফাইনালেও এক পা দিয়ে রাখবে তারা। তবে সে সুযোগ হেলায় হারালো ভারত। পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হারলো ভারত।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার গতি আর বাউন্সের সামনে খাবি খেতে থাকে ভারতীয় ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে ৪৯ রানে পাঁচ উইকেটের পতন হলেও শেষ পর্যন্ত সুরিয়াকুমার যাদবের ৬৮ রানে ১৩৩ রানের পুঁজি পায় তাঁরা।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আর্শদ্বীপ সিংয়ের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেয় মোহাম্মদ শামি।
দারুণ শুরুর পর ভারতের সুযোগ ছিল অল্প রান করেও ম্যাচ জিতে নেওয়ার। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিরাট কোহলির ক্যাচ মিস ও রোহিত শর্মার রান আউট মিসে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের। এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের দুই অর্ধশতকে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় টেম্বা বাভুমার দল।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানায়, শুরুতে বাজে ব্যাটিং করলেও ভারতের সুযোগ ছিল ম্যাচ জয়ের। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় হেরে যান তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কন্ডিশনে ম্যাচ খেলে থাকি। তাই কন্ডিশন কখনও অজুহাত হতে পারে না। ফিল্ডিংয়ে আমরা ধারাবাহিক নয়। আজকেও অনেক সুযোগ মিস করেছি। আমি সহ বেশ কিছু রানআউট, ক্যাচও মিস করেছি। এইগুলোই আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে।’
দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমারের ওভার বাকি থাকার পরেও ১৮তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বোলিংয়ে আনেন তিনি। যে ওভারে ডেভিড মিলার দুই ছয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন।
এই ব্যাপারে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘স্পিনাররা শেষ ওভারে বল করতে আসলে কি হতে পারে তা আমি গত কয়েক ম্যাচেই দেখেছি। এসব কারণেই অশ্বিনকে আগে বোলিংয়ে আনি। তাছাড়া উইকেটে তখন নতুন ব্যাটার ছিল। আমার কাছে তাকে বোলিং করানোর জন্য এটাই উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তিন ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। অপরদিকে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্টে সবার শীর্ষে রয়েছে প্রোটিয়ারা। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে ভারত। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যাডিলেডে।