বিতর্কের সূত্রপাত ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারের এক প্রতিবেদন থেকে। সেখানে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম ঘোষণা করা হয়।
বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাবেক এই অধিনায়কই নাকি সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক। তাদের দাবি ছিল, নানা সূত্রমতে মাশরাফির মোট সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন, পুর্নাভা, ওয়ালটনের মত ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর তিনি।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমেও এই ব্যাপারে লেখালিখি হয়। বাধ্য হয়ে এবার মাশরাফি নিজেই মুখ খুললেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ভিনদেশি কোনো হাবিজাবি স্বস্তা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তাদের মনগড়া যা ইচ্ছা লিখতেই পারে। সেসবকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাদেরকে সূত্র ধরে নিয়ে যখন আমাদের দেশের নানা ওয়েবসাইট যা ইচ্ছা তাই লিখে দেয়, তখন দু:খ লাগে বটে!’
মাশরাফির মতে, খবরটা প্রকাশের আগে যাচাই করা উচিৎ ছিল। তিনি লিখেছেন, ‘দেশের একজন মানুষকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, আপনারা চাইলেই তো খোঁজ-খবর নিতে পারেন। তা না করে উল্টো তাদের উদ্ভট নিউজের সূত্র ধরে আপনারা নিউজ করছেন। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার ন্যূনতম চর্চা নাহয় করলেন না, অন্তত নিজেদের এতটা স্বস্তা হিসেবে তুলে ধরতেও তো বিবেকে নাড়া দেওয়া উচিত!’
বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ তাঁদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময়টা পার করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই যুগ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন এই পেসার। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহ ৩৮৯ উইকেট, যা কিনা বাংলাদেশিদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।