তামিমের আশায় বসতি

টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে ফরচুন বরিশাল। এরকম অবস্থার জন্য নিজেদেরই দায়ী করেছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে সমীকরণ কঠিন হলেও এখনো শেষ চারে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটের পরেই দল নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তারুণ্য নির্ভর দলের সফলতা নিয়ে তামিমের সংশয় থাকলেও দল যে এভাবে ব্যর্থ হবে এটা হয়তো তামিম নিজেও কল্পনা করেননি। বরিশাল হারতে হারতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে, টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে তারা। প্লে-অফ খেলতে হলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, তামিমদের কামনা করতে হবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর পরাজয়।

টুর্নামেন্টে সাত ম্যাচে দুটি জয়ে বরিশালের পয়েন্ট চার। সমান ম্যাচ খেলে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর পয়েন্ট ৪ হলেও রানরেটে বরিশালের থেকে এগিয়ে রয়েছে তারা। সমীকরণ বলছে বরিশালকে প্লে-অফে জেতে হলে শেষ ম্যাচে জিততে হবে এবং রাজশাহীর হারতে হবে। বরিশাল ও রাজশাহী দুই দলই জয় পেলে বা দুই দলই হারলে রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে সম্ভবনা বেশি থাকবে রাজশাহীর। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তামিমদের প্রতিপক্ষ বেক্সিমকো ঢাকা।

নিজেরাই নিজেদের এরকম পরিস্তিতিতে ফেলেছেন বলে মনে করেন তামিম। তবুও শেষ চারে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বরিশালের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘আমরা এখনো টুর্নামেন্টে টিকে আছি। এখন অন্যদের ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে এই আশা করছি। এরপর ঢাকার বিপক্ষে যদি জিততে পারি তাহলে আমাদের সুযোগ থাকবে। তবে আমরাই আমাদের এই পরিস্থিতিতে ফেলেছি। আজ আমরা যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি।’

আগের ম্যাচে রাজশাহীর দেওয়া ২২১ রান তাড়া করে সহজেই জয় পাওয়া আত্ববিশ্বাসী ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি। তবে বরিশালের শুরু দেখে মনে হয়েছিলো রাজশাহীর সাথে যেখানে শেষ করেছে চট্টগ্রামের সাথে সেখান থেকেই শুরু করেছে। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় বরিশাল।

সাইফ হাসানকে সাথে নিয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েও ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে মন্থর ব্যাটিং মেনে নিতে পারছেন না তামিম। তামিম বলেন, ‘আমরা দারুণ একটা শুরু পেয়েছিলাম। ১২.৪ ওভারেই ১০০ রানের দেখা পেয়ে যাই। কিন্তু শেষ ৭ ওভারে আমরা মাত্র ৪৯ রান নিয়েছি। এটা মেনে নেওয়ার মত নয়। ৮ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ৪৯ রান। এখানেই আমরা হেরে গেছি। এরপর কোনোমতে ১৫০ এর মত রান করা। ফিল্ডিংয়ে তিনটি ক্যাচও হাতছাড়া করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link