পান্তই খেলবেন সেমিফাইনাল?

ঋষাভ পান্ত ও দীনেশ কার্তিক বিষয়ক বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ভারতীয় দলের একাদশে হয় পান্তের জায়গা হয়, নইলে কার্তিকের। এইতো চলমান বিশ্বকাপের আসরে সুপার টুয়েলভের প্রথম চারটি ম্যাচেই দলে ছিলেন দীনেশ কার্তিক। আর দলে কার্তিক থাকার মানে হলো পান্ত দলের বাইরে।

কিন্তু অফফর্ম আর ইনজুরি মিলিয়ে অভিজ্ঞ কার্তিককে সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাখা হয়নি। তখন সুযোগ জুটে ঋষাভ পান্তের। যদিও পান্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবুও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের বাকি ম্যাচে পান্তকেই দেখা যাবে – আভাস দিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কাম উইকেটরক্ষককে দেখা যাবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পান্ত পারফর্ম করতে না পারলেও রাহুল দ্রাবিড় কেবল এক ম্যাচের উপর ভিত্তি করে তাঁকে বিচার করতে রাজি নয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা কখনো পান্তের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছিলাম। স্কোয়াডের ১৫ জনের মধ্যে থেকে মাত্র ১১ জন মাঠে খেলতে পারে। প্রতিপক্ষ দলের কম্বিনেশন কী হবে, তার উপর নির্ভর করে যে কোন ১১ জন খেলবে। ভারতের বিশ্বকাপ দলে থাকা সবার ওপরই আমাদের আস্থা আছে। যে কোন সময়েই তাঁদের একাদশে খেলার জন্য ডাকা হতে পারে।’

ঋষভ পান্ত প্রসঙ্গে দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘সে নেটে প্রচুর ব্যাটিং করেছে। সে প্রচুর শট খেলেছে। কিপিংয়ের অনুশীলন চালিয়েও নিজেকে প্রস্তুত রাখছে। নিজেকে সে সবটুকু দিয়ে তৈরি করছে। এখন আমাদের তাঁকে সুযোগ দেওয়ার পালা এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওকে বিশ্বকাপে এখন অবধি একটি ম্যাচ খেলানোর সুযোগ হয়েছে। যদিও সেই ম্যাচে সে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেনি। কিন্তু সেটা নিয়ে আমি একেবারে উদ্বিগ্ন নই। ম্যানেজমেন্টও উদ্বিগ্ন নয়। আমি মনে করি না যে, আমরা কেবল একটি খেলা দিয়ে লোকেদের বিচার করি। বাঁ-হাতি স্পিনারদের আক্রমণ করার দায়িত্ব ছিল ওর। সে চেষ্টা করেছে। তবে খেলায় কখনও কখনও ফল আসে এবং কখনও কখনও তা হয় না।’

ঋষভ পান্তের বিশেষত্ব হচ্ছে তিনি একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাই দলে ব্যাটিং অর্ডারে ভারসাম্য এবং ভিন্নতা এনে দেয়ার জন্য তাঁর জুড়ি নেই। এই আসরের প্রথম ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারলেও, সেমিফাইনালে পান্ত তাঁর ওপর কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দিতে চাইবে।

সব মিলিয়ে কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছে ম্যান ইন ব্লু’রা।সেমিফাইনালের ম্যাচতি জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করতে মুখিয়ে থাকবে তাঁরা। চোখটা যে শিরোপায় স্থির তাঁদের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link