পাকিস্তান ক্রিকেট মানেই যেন বিতর্ক। এবার সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক এবং তারকা খেলোয়াড় জাভেদ মিয়াদাঁদ নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান দলে বিদেশি কোচিং স্টাফদের আধিক্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। আর এক প্রকার বোমাই ফাঁটিয়েছেন ফিক্সিং ইস্যুতে।
মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সমস্ত পাকিস্তান জুড়েই ফাইনালের পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে এবার সাবেক পাকিস্তানি খেলোয়াড় জাভেদ মিয়াদাঁদ তার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলোধুনো করলেন বোর্ডকে। তবে মিয়াঁদাদের আঙুল খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে না, তিনি সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে বিদেশি স্টাফদের থাকা নিয়ে।
মিয়াদাঁদ পাকিস্তান দলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলে দেশির চেয়ে বিদেশি স্টাফদের সংখ্যায় বেশি থাকে। সাথে ম্যানেজমেন্ট আস্তে আস্তে বিদেশি কোচদের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এতে করে পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড়রা কোচিং স্টাফ দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে, বর্তমানে খেলতে থাকা খেলোয়াড়েরাও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগবে। এখান থেকে ফিক্সিংয়ের সূত্রপাতও হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মেন্টর এর সাথে ব্যাটিং কোচ হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন এবং বোলিং কোচ হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার শন টেইট বিশ্বকাপে দলের সাথে কাজ করেছেন।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে মিয়াদাঁদ বলেন, ‘আমরা কাউন্টি খেলেছি, কিন্তু এখন যেসব ছেলেরা খেলছে তাদের ভবিষ্যৎ কি?’ উপস্থাপক যখন মিয়াদাদঁকে আরও মনে করিয়ে দেন যে, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাকিস্তান দলের সাথে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার ছিলেন, সেটা শুনে মিয়াদাদঁ আরও বেশি ক্ষুব্ধ হন যেন।
বলেন, ‘আনুন না আপনি তাকে এখানে, আমিও তাকে জিজ্ঞেস করব, দেখব কি জানে তাঁরা ক্রিকেট সম্পর্কে! আসলে এগুলা সব বোর্ডের কারসাজি। বোর্ড এগুলা করেই নিজেদের বাঁচাতে চাই সব সময়।’
এরপরই মিয়াদাদঁ ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বোমা ফাঁটান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল সাবেক খেলোয়াড়দের দিকে তাঁকান, আমি আমার কথা বলছি না। আমি অনেক প্রস্তাব পেয়েছি কিন্তু আমি যাই নি। কিন্তু এই যে, এখন যারা খেলছে তাদের কি হবে? তারা জানে, তারা যদি পারফর্ম না করে, তাহলে তাদের আর কোথাও যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। ক্রিকেটে ফিক্সিং হয়ই মূলত এই কারণেই। প্রত্যেকেই নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকে, এজন্য।’