‘ছোটবেলায় আর্জেন্টিনা ছিলাম, বিয়ের পর ব্রাজিল’

বিশ্বকাপে ফুটবলার, দর্শকদের গন্তব্য কাতার। কিন্তু ঢাকায় এক নতুন গন্তব্য তৈরি হয়েছে-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

২০২২ ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভেন্যুতে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। ভেন্যু তিনটি হল-টিএসসি, সোপার্জিত স্বাধীনতা ও মহসিন হলের মাঠ।

এর মধ্যে মহসিন হলের মাঠে খেলার দেখার আয়োজন নিয়ে আন্তর্জাতিক হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের নামকরা সব সেলিব্রিটিরা এই মাঠের ছবি পোস্ট করছেন টুইটার, ফেসবুকে। ফিফা পরপর দু দিন টুইটারে ছবি পোস্ট করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসমাগম নিয়ে।

এই জনসমুদ্রেই পাওয়া গেল কাজী ঐচ্চিকা জামান এবং তার বাবা কাজী নুরুজ্জামান ও মা আকলিমা আক্তারকে। তিন সদস্যের এই ব্রাজিল ভক্ত পরিবারের সাথে মজার কথোপকথন ছিলো এমন।

প্রশ্ন: ঐচ্চিকা তুমি কোন দলের খেলা দেখতে আসছ?

ঐচ্চিকা: ব্রাজিলের খেলা দেখবো।

প্রশ্ন: কেন?

ঐচ্চিকা: আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার।

প্রশ্ন: বাবা-মা জোর করে বানিয়েছে?

ঐচ্চিকা: না, না। আমি সত্যিকারের ব্রাজিল। ওদের আমার ভালো লাগে।

প্রশ্ন: ব্রাজিল কী বিশ্বকাপ জিতবে?

ঐচ্চিকা: ইনশাআল্লাহ। ব্রাজিল ভালো খেলে তো।

প্রশ্ন: নুরুজ্জামান ভাই, ব্রাজিল পরিবার করে ফেললেন কী করে?

নুরুজ্জামান: আমি তো অনেক আগে থেকে ব্রাজিলের সাপোর্টার। আমি জিকো, সক্রেটিস থেকে শুরু করে রোনালদো, রোমারিওদের খেলা দেখেছি। পেলের কথা তো বাদই দিলাম। ব্রাজিল সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলে। তাই আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার।

প্রশ্ন: ভাবীকে কী জোর করে সাপোর্টার বানালেন?

নুরুজ্জামান: না, না। ও আগে থেকেই ব্রাজিল।

প্রশ্ন: আপু, আপনি কী আগে থেকেই ব্রাজিল?

আকলিমা: না। (হাসি) আসলে ছোটবেলায় আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ছিলাম। বিয়ের পর ব্রাজিল হয়ে গেছি। এখন ব্রাজিলের খেলাই ভালো লাগে।

প্রশ্ন: এখানে এসে খলা দেখতে কেমন লাগছে?

আকলিমা: অসাধারণ লাগছে। আমি তো অনেকদিন পর এলাম। সেই ছাত্র জীবনে টিএসসি এসে মজা করতাম। তারপর এতদিন আসা হয়নি। এবার শুনলাম খুব ভাল বড় পর্দায় খেলা দেখাচ্ছে। তাই চলে এলাম। নগদকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা আয়োজন করার জন্য।

প্রশ্ন: ভাইয়া, আপনার কেমন লাগছে এখানে খেলা দেখতে?

নুরুজ্জামান: এত মানুষের মধ্যে খেলা দেখাটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। মনে হচ্ছে, মাঠে খেলা দেখছি। প্রিয় দলের খেলা এভাবে দেখাটা খুব আনন্দের। আকলিমার মতই বলি, নগদকে ধন্যবাদ। আর নগদ আমার খুব আপন প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন: কেন?

নুরুজ্জামান: নগদ-এ সোলাইমান সুখন আছেন। আমি ওনার ‍খুব ভক্ত। ওনার কথা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। আর আমি একেবারে শুরু থেকে নগদ-ই ব্যবহার করি। তাদের অনেক ধন্যবাদ এরকম আয়োজন করার জন্য। আশা করি, বাংলাদেশের ফুটবল নিয়েও এমন আয়োজন হবে।

প্রশ্ন: ঐচ্চিকা, তুমি কী নগদকে ধন্যবাদ দেবে?

ঐচ্চিকা: আমার তো লজ্জা করে।

প্রশ্ন: তারপরও…

ঐচ্চিকা: থ্যাংকস নগদ। আমি ব্রাজিলকে ভালোবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link