পেসার তাসকিন আহমেদের ভাগ্যটাই খারাপ। বারবারই তাঁকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। ভাল সময়ে থাকতে থাকতেই ইনজুরি তাঁকে দল থেকে দুরে ঠেলে দেয়। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে আবারও একই পরিণতি বরণ করে নিতে হতে পারে তাঁকে।
পিঠের ব্যাথার কারণে, ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে খেলা হবে না তাঁর। এমনকি ৫০ ওভারের ফরম্যাটের পুরো সিরিজটাই তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) তাঁর বিকল্প ভেবে ফেলেছে। ‘এ’ দল থেকে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামকে ক্যাম্পে ডেকে আনা হয়েছে।
ওদিকে ইনজুরির কারণে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও (বিসিএল) মাত্র একটা ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন এই পেসার। এরপর থেকেই বিশ্রামে ছিলেন এই পেসার। তবে তাঁর পিঠের ব্যাথা এখনো কমেনি বলেই জানা যায়। এছাড়া গতকাল নিজেদের মধ্যে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচেও ছিলেন না তিনি। এমনি গতকাল ব্যাথানাশন ইনজেকশন নিতে হয়েছিল এই পেসারকে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যথারীতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশ দল যেতে পারেনি সেমিফাইনালে। সেই দায়টা আর যাই হোক তাসকিন আহমেদের নয়। বরং তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন বাংলাদেশ দলের যিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তারকাদের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে গিয়েছেন। পাঁচ ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। যদিও, সেই ধারাবাহিকতার মাঝে এবার হানা দিল ইনজুরি।
দেশে ফিরে তাসকিন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) মন দেন। খেলেন ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসরের প্রথম রাউন্ডে। এরপর থেকে তাসকিন বিশ্রামেই ছিলেন। গেল বুধবার মিরপুরে নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ম্যাচ প্র্যাকটিস করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেখানে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।
সেই ম্যাচ খেলার সময় হাঁটুতে চোট পান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরবর্তী অবস্থা জানতে বৃহস্পতিবার তার হাঁটুতে স্ক্যান করানোর কথা। টিম ম্যানেজমেন্টে তাঁকে নিয়েও শঙ্কায় আছে। অধিনায়ককে ছাড়াও মাঠে নামতে হতে পারে বাংলাদেশ দলকে।
ওয়ানডেতে পূর্ণশক্তির ভারতেরই মোকাবেলা করতে হবে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা বাদে শীর্ষ পর্যায়ের সব ভারতীয় তারকাই খেলবেন এই সিরিজে। আসছে ডিসেম্বরের ৪, ৭ ও ১০ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে। তাসকিনকে যে এই সিরিজে বাংলাদেশ যথেষ্ট মিস করবে তা চোখ বুজেই বলা যায়।
প্রথম দু’টি মিরপুুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ও শেষটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। এরপর ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ঢাকায়।