পেলের মতো খেললে…

এমন একজন স্পোর্টসপারসন, যার ইউরোপ যাত্রা আটকাতে এগিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। সে নাকি দেশের জাতীয় সম্পদ। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাঠে নামলে সেটা হয় ম্যাজিক, জাদুবিদ্যার প্রভাব না হয় দুর্বোধ্য কোনও ঈশ্বরের একচেটিয়া শক্তির প্রদর্শন। যার পায়ে বল পড়লে ছন্দ খেলে, আগডুম-বাগডুমের মতো এদিক থেকে ওদিক হয়ে হেসেখেলে বেড়ায় গোটা মাঠ।

ব্রাজিলের আক্ষরিক অর্থে কোনও জাতীয় সম্পদ বলে কিছু থেকে থাকলে সেটা রিও ডি জেনেইরোর সমুদ্রতটের পাশে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এস্তাদিও মারাকানা। আজকের মারাকানার সাথে যার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তফাৎ খেলা করে। ১৯৫০ সালের সেই মারাকানা ভরে থাকত ব্রাজিলিয়ান জিঙ্গোতে, সাম্বা ড্যান্সে। দর্শকাসনে থাকা ম্যাক্সিমাম লোক শ্রমিকশ্রেণীর, যারা জেতার থেকে বেশি প্রাধান্য দিত এনজয়মেন্টকে।

কিন্তু, ১৯৫০-এর ছবিটা একটু অন্যরকম। ফাইনাল রাউণ্ডের শেষ ম্যাচে জিততেই হবে উরুগুয়ে অথবা ব্রাজিলকে, মানে যে জিতবে বিশ্বকাপ তার। হাজার হাজার মারাকানা দর্শকের সামনে বারবোসা ভুল করে বসলেন। অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা জুলে রিমে পরী অদূরেই রেখে আসতে হল। ব্রাজিলিয় ট্র্যাজেডি হিসেবে বিখ্যাত সেই মারাকানা ফিরতি পথে গোলকিপার বারবোসাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উঠল। এ বোঝার ভার আজীবন বইতে হয়েছিল ব্রাজিলিয় ক্লাব ভাস্কো ডা গামা লেজেন্ড মোওসির বারবোসাকে।

সেই ফাইনালে মারাকানজোতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাথলেটিকো মিনেইরো এবং ফ্লুমিনেসের প্রাক্তন স্ট্রাইকার ডোনডিনহো। ডোনডিনহো খুব প্রমিসিং স্ট্রাইকার ছিলেন নিজের সময়, অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর হয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৭ গোল ছিল। সেই ডোনডিনহো যখন ট্র্যাজেডির এফেক্টে অশ্রুসজল, ১০ বছরের এডসন ন্যাসিমেন্টো বাবাকে সান্ত্বনা দিতে বলেছিল, একদিন ঐ জার্সিতে ফুটবল খেলেই বিশ্বকাপ এনে দেবে বাবাকে। প্রমিসটা রাখতে এডসন অ্যারিন্টস ডু ন্যাসিমেন্টো ভি পেলে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৮ বছর!

পেলে, এডসন অ্যারিন্টস ডু ন্যাসিমেন্টো ভি পেলে। পেলে মানে ব্রাজিল। পেলে মানে ‘৭০ বিশ্বকাপে জেয়ারজিনহোর কাঁধে চেপে একহাত মুঠো উল্লাস। পেলের নামে স্যান্টোসের বিবর্তন, স্যান্টোসের বর্ণময় ইতিহাস। পেলে মানে মোজায় কাগজ গুঁজে কণ্টকাকীর্ণ ফুটবল। পেলে মানে হলুদ নীল বর্ণের নিচে ভালবাসা খুঁজে ফেরা হাজার হাজার কিশোরের স্বপ্ন।

সেরা সময়ের রিয়াল মাদ্রিদ প্রস্তাব দিয়েছিল ইতিহাসকে অংশ করে নেওয়ার। সেটা ১৯৫৮ সাল। ইউরোপের ফুটবল ভাঙছে। নতুন করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড সেজে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আর্জেন্টিনা থেকে ডি স্টেফানো আর হাঙ্গেরি থেকে ফেরেঞ্চ পুসকাস স্পেনে চলে এসেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানি বিশ্বকাপ জিতে দুনিয়াকে বার্তা দিয়েছে। সেই সময় এক বছর ষোলোর কিশোর পথে পথে ফুটবল খেলে বেড়াচ্ছে। কেন খেলছে? জিজ্ঞেস করায় উত্তর মিলছে শান্তি পেতে

। যে ট্রেস কোরাকোসে জন্ম, সেখানে তখন কফির চাষের সঙ্গে সাইমালটেনিয়াসলি চলছে রনিয়ের রড্রিগেজের মাফিয়ারাজ। লাশের ভীড়, খাদ্যাভাব। ঐ স্থানে দশ-বারো বছরের কিশোরদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ফুটবল। সে গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে হোক, মোজায় কাগজ গুঁজে হোক। ভালবাসাকে নিজের করে পেতে হলে কোনও কিছুর পরোয়া করলে চলে না পৃথিবীতে।

১৯৪০ নাগাদ পেলে যখন জন্মাচ্ছেন, তখন ব্রাজিলের স্টার হয়ে উঠেছেন লিওনিদাস ডি সিলভা। যাকে সেমিফাইনালে আদেমের পিমেন্টা ফাইনালে হাঙ্গেরির মুখে পড়ার আগে ‘রেস্ট’ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিত্তোরিও পোজো বা বকলমে বেনিটো মুসোলিনির ইতালি বায়াসড রেফারিং এবং লিওনিদাসের অভাবের সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ বার করে নেয়। সে কাপে লিওনিদাস টুর্নামেন্ট সেরা হন। ফুটবলে ব্রাজিলের পাওয়ার হাউস প্রবর্তনের সেই শুরু।

এরপর একে একে উঠে আসতে লাগলেন ফালকাও, দানিলো, মারিও জাগালো, জিটো, দিদি, জালমা স্যান্টোস, ভাভা, গ্যারিঞ্চা এবং পেলে। এই শেষের জনকে বাউরুর রাস্তা থেকে ধরে আনেন ১৯৩৪ বিশ্বকাপের স্ট্রাইকার ওয়ালদেমার দে ব্রিটো। গচ্ছিত করেন স্যান্টোসে, এবং স্কিল দেখে সেই মূহূর্তেই বলেন – এ একদিন পৃথিবীর সেরা ফুটবলার হতে চলেছে।

এবং ১৯৫৬-তে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ডেবিউ যখন করছেন পেলে, তখন ব্রাজিলের সেই ভরা সংসারে আদত সুপারস্টারের নাম মানে গ্যারিঞ্চা। আসল নাম ম্যানুয়ের ফ্রান্সিসকো ডস স্যান্টোস কিন্তু তার ডান পায়ের কাট ইন, রুলেট আর জাগলিং দেখে জনতা বলতে শুরু করেছে গ্যারিঞ্চা, অর্থাৎ লিটিল বার্ড। যে মাঠে পলকে উড়ে বেড়ায়।

তার পাশে জায়গা হল এডসন ন্যাসিমেন্টোর। স্ট্রাইকিংয়ে থাকল ভাভা, মাঝমাঠ নেতৃত্বে ফালকাও, মারিও জাগালো আর নিচে ওরল্যান্ডোর সঙ্গে রাইটে জালমা স্যান্টোস। ভিসেন্তে ফিওলার শুরু হল স্বর্ণযুগের ফুটবলের রথযাত্রা। ভিসেন্তে ফিওলা, এই নামটা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের স্বর্ণযুগের শুরুর কাণ্ডারী।

১৯৫৮ বিশ্বকাপের আগে জাতীয় ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর, ফিওলা তার খেলোয়াড়দের কাছে অন্য যে কোনও কোচের চেয়ে বেশি দাবি করেছিলেন। ফিওলা চেয়েছিলেন যে তার খেলোয়াড়রা ব্রাজিল জাতিকে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি দেশে আনার জন্য এবং তাদের পরিবার এবং তাদের জনগণের জন্য গর্ব করার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করবে।

যেমন, তিনি এমন একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন যা পুরোটা ছিল খেলোয়াড়দের জন্য নিষেধাজ্ঞা। টুপি না পরা, ধূমপান না করা এবং প্রেসের সাথে কথা না বলা। এতদিনকার চিরচেনা অভ্যাস ফিওলা এসে পুরো বর্জন করলেন এবং নতুন ফর্মেশন ক্রিয়েট করলেন। ব্রাজিলের আগের বিশ্বকাপগুলোতে যে স্কোয়াডগুলো ছিল, তার পুরো এগেন্সটে গিয়ে দল তৈরি করলেন এবং তাদের একটা সমন্বিত ইউনিটে গঠন করলেন। নিয়ে এলেন ৪‌-২-৪ ছক।

ডানে গ্যারিঞ্চা আর মাঝে পেলেকে রেখে একটু উপরে ঠেললেন ভাভাকে। নিচে সাপোর্টিভ হিসেবে মারিও জাগালো। এই ব্রাজিলকে আর রোখা গেল না। আর ব্রিটোর ভবিষ্যদ্বাণী ফলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। সেই প্রথম কোনও সতেরো বছরের কিশোর বিশ্বকাপে গোল করল, হ্যাটট্রিক করল। এনে দিল বিশ্বকাপটাও। সুইডেন থেকে স্যান্টোসে ফেরত এসে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠল ন্যাসিমেন্টো পেলে। আর তারপর মহাবিশ্ব লিখতে বসল ইতিহাস। হাজার গোলের উপন্যাস।

গ্যারিঞ্চা, ভাভা, দিনেমার, জালমা স্যান্টোস, দিদির মতো সুপারস্টার থাকা সত্বেও পেলেতে মজল ব্রাজিল জনতা, তার অনেক কারণগুলোর মধ্যে একটা, ফুটবলকে নিজের কথা বলার অস্ত্র করে নেওয়া। তারকাখচিত দলের পেলেই সেই প্রথম স্পোর্টসম্যান যিনি বলছেন ফুটবল খেলি শান্তির জন্য, আনন্দের জন্য। গোল করলে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। ড্রিবল করলে মনে বড় প্রশান্তি অনুভূত হয়। বিশ্ব দেখল, সেই প্রথম ব্রাজিলের কোনও ফরোয়ার্ড মাঝমাঠে এসে বল ধরতে থাকল।

শুধুই স্ট্রাইকার কোনও কালে ছিলেন না পেলে। এবং আজ থেকে বছর ষাটেক আগের ফুটবলে রেকর্ডিং না থাকায় বহু গল্প আকাশে বাতাসে ভাসমান হয়েছে যার কোনওটা সত্যি নয়। যেমন, পেলের সময় অফসাইড রুল ছিল না— সর্বৈব মিথ্যা। বরং অফসাইড রুলের প্রয়োগ অন্য ছিল। লাইনের কনসেপ্ট না থাকায় অ্যাটাকার বল ধরার সময় ডিফেন্ডারের থেকে যৎসামান্য এগিয়ে থাকলেও সেটা অনসাইডই হতো।

তার মানে এই নয় যে প্লেয়ার ডিফেন্ডারের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে থাকছে এবং ফাঁকা গৌলে বল ঠেলছে। পেলে বেশিরভাগ সময় শিকার হয়েছেন ফাউলের। এবং পরবর্তী প্রজন্মে মারাদোনাও। পেলের সময় লাল-হলুদ কার্ড আসেনি। মাঠের কন্ডিশন ভাল ছিল না। খাদ্য, ট্রেনিং এবং আরও অন্যান্য অবস্ট্রাকলের জন্য আলাদা আলাদা কোচিং ডিপার্টমেন্ট ছিল না যা অধুনা মর্ডান ফুটবলে অবিশ্বাস্য ঠেকে। সেই সব বাধা পেরিয়েও রেকর্ডের জাবদা খাতায় হাজার গোলের ইতিহাস। ব্রিটো আদপেই ঠিক বলেছিলেন, এর জুড়ি মেলা ভার!

পেলেই প্রথম ব্রাজিল ব্যক্তিত্ব, যার ফ্রেস্কো আঁকা হল ব্রাজিলের পথে। অলিতে-গলিতে কিশোররা একটা চামড়ার বল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করল ফুটবলার হওয়ার। ড্রেনের নোংরা জলের পাশ থেকে উঠে আসা অসংখ্য কালো চামড়ার কিশোর ফুটবলকে জড়িয়ে ধরে বাঁচতে চাইতো কারণ তাদের হিরো ব্ল্যাক ডায়মণ্ড পেলে বিশ্বকাপে গোল করছে, দেশকে ট্রফি এনে দিচ্ছে। সেই ১৯৫৮, যখন গায়ানায় ফুটবল বিপ্লব শুরু হচ্ছে, ঘানা স্বাধীন হয়ে ফিফার দপ্তরে মেম্বারশিপ অর্জন করে দিকে দিকে ফুটবলের ট্রেনিং গ্রাউণ্ড তৈরি করছে, পথে পথে হাজার হাজার কালো চামড়ার কিশোররা অগ্নিশলাকার মতো উঠে এসে ইউরোপের দরজায় কড়া নাড়ছে, তারা বিশ্বকাপ খেলবে।

পেলে সেই উদ্বুদ্ধতার নাম। ব্রাজিল তাকে ঘোষণা করল জাতীয় সম্পদ হিসেবে। খোদ রাষ্ট্রপতি এসে পেলের ইউরোপ যাত্রা আটকে দিলেন। স্যান্টোস বর্ণাঢ্য আয়োজনে ভরিয়ে দিল ঐ অতিমানবীয় কিশোরকে। ১৯৬২-তে বড় চোটে ছিটকে যাওয়া পেলে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ফিরে এল আলও ভয়ানক হয়ে। ইউসেবিওর পর্তুগাল যতটা সম্ভব মারধোর করে থামিয়ে দিতে চাইল তাকে। চেকোস্লোভাকিয়াও হালে পানি পেল না। ব্রাজিল সেবার কাপ পেল না, কিন্তু ব্রাজিল জনতার চোখে আজীবনের মণি হয়ে রয়ে গেল একটা নাম।

হাজার হাজার উৎসুক জনতার হৃদয়ে লেখা হল ফুটবলের ‘ও লেই’, অর্থাৎ, দ্য কিং! মুকুট পরিহিত কালো শরীর সগর্বে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে সাদা চামড়ার লেজেন্ডদের। যেন বিপ্লব পেলের শরীরের রূপে এসে হুঙ্কার দিচ্ছে বর্ণবাদে ভরা পৃথিবীকে। সেন্ট্রাল অ্যাটকিং মিডফিল্ডার বা সেকেন্ড স্ট্রাইকার, ফুটবলীয় পরিভাষায় ১০ নম্বর জার্সিকে বিশ্বখ্যাত করার সেই প্রথম নাম এডসন ন্যাসিমেন্টো। ব্রাজিলভক্তদের পেলে।

আর তারপর থেকে প্রত্যেকটা সুপারস্টার যেন নিজেই এক একজন পেলে। নতুন পেলে, নতুন ন্যাসিমেন্টো। রোনাল্ডো লিমা যখন ক্রুজেইরো থেকে পিএসভি আইন্দোভেনের বিস্ময় বালক, তখন তিনি নতুন পেলে। রবিনহো যখন রিয়াল মাদ্রিদের গ্যালাকটিকোসের অংশ, তখন তিনি নতুন পেলে। জিকো, কারেকা, রিভালদো, রোনালদিনহোরা যে যখন উঠে এসেছেন হয়ে গেছেন নতুন পেলে। নতুন পেলে মানেই নতুন বিস্ময়।

নতুন কবিতা, নতুন বডি ফেন্টে জীবনকে আরেকবার খুঁজে পাওয়া। প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে পেলের পা-কে পৌঁছে দেওয়া। সত্তরের ফাইনালে কার্লোস আলবার্তোর গোল যেন পেলের নিজের। মাথায় নিয়ে এক ঝটকায় শরীর ঘোরানো পেলে যেন গভীর রাতের ছাদে দাঁড়ানো আমি। গর্ডন ব্যাঙ্কসকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার বানিয়ে তারপর কোন সূদূর কলকাতায় খেলতে এসে শিবাজী ব্যানার্জিকে সেই নামটা দিয়ে দেওয়া পেলে। ১৯৭৭ বাঙালির রেডিওর আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছিল।

হাবিবের ‘উনিও ফুটবলার, আমরাও ফুটবলার’ যেন সেই বাউরুর মধ্যকিশোর পেলের নিজেরই আরেক রূপ। ফুটবল খেললে নাকি পেলের মতো খেলতে হয়। না হলে বাবা-মা বকবে। পেলের মতো খেললে মিলবে আজন্ম ফুরসত। পেলে ব্রাজিলের কাঁটাভর্তি রাস্তায়, পেলে নন্দনের সামনে বল জাগলিং করা আধপেটা ছেলেটা, পেলে রাজস্থানের নীল গলিতে ছুটে বেড়ানো প্রাণোচ্ছল কিশোর, পেলে বুড়িয়ে যাওয়া ইব্রাহিমোভিচের বাইসাইকেল, পেলে মাফিয়ারাজের গোটানো সাম্রাজ্যে দেশের সম্পত্তি, পেলে কাদামাঠের গায়ে আঁকা জীবনের প্রতিচ্ছবি।

এই পৃথিবীর প্রতিটা রাস্তায় নিজের মতো করে পেলে এঁকে চলেছেন নিজেরই ছবি। কিং নিজের শরীরকে শুধু রেস্ট দিলেন। লং লিভ দ্য কিং, লং লিভ দ্য এম্পেরর অফ ফুটবল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link