লুকাস রোমান, বার্সার নতুন মেসি

নব্বইয়ের দশকে এই ব্যাপারটা আর্জেন্টিনার ফুটবলে বেশ ঘটত। বিশেষ করে ডিয়েগো ম্যারাডোনার খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হওয়ার পর। এমনকি লিওনেল মেসিকেও ক্যারিয়ারের শুরুতে ডাকা হত ‘নতুন ম্যারাডোনা’ নামে।

তবে, এখন আর সেদিন নেই। ম্যারাডোনায় বুঁদ হওয়া ফুটবল প্রজন্মের জায়গায় ঠাঁই করে নিয়েছে মেসিতে মাতোয়ারা ফুটবল জগতের বাসিন্দারা। তাই, এখন আর্জেন্টিনা হোক কিংবা হোক বার্সেলোনা – সবাই খোঁজে নতুন লিওনেল মেসিকে।

এই যেমন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ১৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তরুণ লুকাস রোমানকে নিচু সারির ক্লাব ফেরো কারিল ওয়েস্ত থেকে সম্প্রতি দলে ভিড়িয়েছে স্প্যানিশ বার্সেলোনা। কারণ, বার্সেলোনার ম্যানেজমেন্ট তাঁর মাঝে দেখতে পেরেছে মেসির ছায়া।

চুক্তির অংক খুব একটা বেশি না হলেও রিলিজ ক্লজ বাবদ লুকাস রোমানের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দর বেঁধে দিয়েছে বার্সেলোনা। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বার্সার সাথে তার চুক্তি হয়েছে। কাতালান ক্লাবটির বিবৃতিতে রিলিজ ক্লজের পরিমাণ দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। এবার প্রশ্ন হল – আর্জেন্টাইন তরুণের মধ্যে এমন কী পেয়েছে বার্সেলোনা যাকে ধরে রাখতে আকাশচুম্বী অর্থের শর্ত যুক্ত করা হয়েছে?

এর উত্তর দিয়েছেন রোমানের সাবেক ক্লাব ফেরো কারিল ওয়েস্তের সভাপতি ড্যানিয়েল প্যানডোলফি। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিভাগের দল ফেরোতে খেলতেন রোমান। ক্লাব ইতিহাসে অন্যতম সফল বিক্রির পর ফেরো সভাপতি জানান, রোমানের মধ্যে লিওনেল মেসির ছায়া দেখার কথা বলেছে বার্সেলোনা।

তরুণ বয়সেই রোমান ফেরোর হয়ে মাঠে একচেটিয়া আধিপত্য প্রমান করেছেন এবং ইতোমধ্যেই আর্জেন্টাইন অনুর্ধ্ব-১৬ ও অনুর্ধ্ব-১৮ দলে খেলেছেন। স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোমানের বার্সা-যাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন প্যানডোলফি।

তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনা অনেক দিন ধরে তাকে নজরে রেখেছিল।  খেলোয়াড়ি নৈপুণ্যে সব সময়ই সে বয়সের তুলনায় এগিয়ে। আর্জেন্টিনার অনুর্ধ্ব-১৬ ও অনুর্ধ্ব-১৮ দলে খেলেছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমাদের দলে সে প্রথম খেলেছে। এরপর থেকেই মূল একাদশে নিয়মিত খেলে গেছে।’

বাঁ পায়ে খেলতে বেশী পারদর্শী রোমান মধ্যমাঠ ও উইং উভয় পজিশনেই খেলতে পারেন। বার্সেলোনার যুব দল বার্সা অ্যাথলেটিকের হয়ে তিনি আপাতত খেলবেন। মূল দলে জায়গা পেতে তাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। মেক্সিকান কোচ রাফায়েল মার্কেজের অধীনে অনুশীলন করবেন রোমান।

এই প্রথম কোন আর্জেন্টাইন হিসেবে মেসির সাথে রোমানের তুলনা করা হয়নি। ভবিষ্যতেও হয়তো আরো অনেকের সাথে মেসির তুলনা হবে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে বাম পায়ের রাইট উইঙ্গার হিসেবে কিছুটা হলেও রোমানকে অন্যদের থেকে ভিন্ন করে তুলেছে। মেসির মত অনেক কিছুই তার মধ্যে দেখা যায়। বার্সেলোনাও রোমানের মধ্যে মেসির ছায়াই দেখছে বলে প্যানডোলফি মন্তব্য করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link