অস্ট্রেলিয়ান এক ক্রিকেটার মাত্র ৭ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন টুপি মাথায় তুলবেন এটা ভাবাটাও বোধহয় ভাবাটাও বোধহয় কিছুটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু সেটিই বোধহয় ঘটতে যাচ্ছে বোর্ডর-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকের জোর সম্ভাবনা আছে ৭ টি প্রথম শ্রেণি আর ১৪ টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা টড মারফির।
২০২০ সালেই দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন মুরফি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টরিয়া দলের বয়স ভিত্তিক দলের বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেন তিনি। নাগপুরে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে নাথান লিঁও’র পাশে আরেকজন বাড়তি স্পিনার খেলালে অভিষেক হয়ে যেতে পারে মারফির। অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দল ভিক্টোরিয়ার স্পিন বোলিং কোচ ক্রেগ হাওয়ার্ড বেশ আশাবাদী শিষ্যকে নিয়ে, ‘সে কন্ডিশনের সাথে খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। শুরু থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম যে সিম পজিশন নিয়ে অনেক ফ্লেক্সিবল।’
নাগপুর টেস্টে একাদশে জায়গা পেলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন মারফি, এমনটাই মনে করেন তার কোচ ক্রেগ। তিনি বলেন, ‘যদি তারা পুরোপুরি স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করে তাহলে সে জানে তাকে কি করতে হবে। তাঁর অনেক ভ্যারিয়েশন আছে। যার মধ্যে অনেক ভ্যারিয়েশনই অস্ট্রেলিয়ার পিচে কাজ করে না।’
গত ছয় মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা হচ্ছে যে নাথান লিঁও’র পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সেরা স্পিনার এখন মারফি। কিন্তু লিঁওর মতই ডানহাতি অফ স্পিনার হওয়ায় দলে জায়গা পাবার সম্ভাবনা কমে যায় মুরফির। এদিকে আবার অলরাউন্ডার ট্রাভিস হেডও পার্ট টাইন অফস্পিনটা ভালোই করছেন। তাই সচরাচর তাঁর একাদশে জায়গা পাওয়াটা আদতে কঠিনই।
এদিকে ভারতের টপঅর্ডারের চার ব্যাটারই ডানহাতি। তাই এমন ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ২ জন বিশেষজ্ঞ অফস্পিনার খেলাবে কিনা অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট সেটিই দেখার বিষয়। কিন্তু প্রথম শ্রেণি ও ঘড়োয়া ক্রিকেটে ডানহাতিদের বিপক্ষে দারুণ রেকর্ড মুরফির। ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে ২৬.৭ গড়, আর ৬২.২ স্ট্রাইক রেট তাঁর।
এদিকে বাঁহাতি স্পিনার হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় পছন্দের স্পিনার এখন অ্যাস্টন অ্যাগার। যদিও ডান হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে মুরফির গড়টাই বেশ খানিকটা এগিয়ে। তাই দুইজন ডানহাতি স্পিনার পারফর্ম করলে দুইজনকেই একই সাথে একাদশে রাখা যায় বলে মনে করেন মারফির কোচ ক্রেগ।
প্রায় ২০ বছর ধরে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি অজিদের। এবারও অস্ট্রেলিয়া বধে স্পিন সহায়ক পিচ প্রস্তুত করে রাখছে ভারত। সেই সাথে আছে ভারতের বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিন বোলিং লাইনআপ। তবে স্পিন ডিপার্টমেন্টে নাথান লিওঁর নেতৃত্বে মুরফিরা জ্বলে উঠলে পাশা দান উল্টেও যেতে পারে।