অধিনায়ক থাকাকালীন খেলোয়াড়দের ফিটনেস ইশ্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। নিজে ছিলেন ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম পথিকৃত। ‘১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে ফিটনেস ধরে রাখতে হবে’- এমন বার্তাও দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু বিরাটের উত্তরসূরী হিসেবে ভারতের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করা রোহিতের নিজের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা চলে সবসময়। রোহিত মেদবহুল শরীর নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয় না।
ব্যাটসম্যান রোহিতকে নিয়ে প্রশ্ন নেই কোনো। অধিনায়কত্বের দায়িত্বেও ভালো নাম্বার পেয়েই পাশ করবেন তিনি। মহাগুরুত্বপূর্ণ বর্ডার- গাভাস্কার ট্রফিতে ২-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের খেলার পথে আছেন ভালোভাবেই। প্রথম দুই ম্যাচে অজিদের পাত্তাই দেয়নি ভারত। সহজ জয়ে সিরিজ অনেকটাই নিশ্চিত রোহিতের দলের।
কিন্তু রোহিতের ফিটনেস বিষয়ক আলোচনা বেশ পুরোনো। ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক কপিল দেবও এর আগে সমালোচনা করেছেন রোহিতের ফিটনেসের। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রোহিতের উচিত তাঁর ওজন নিয়ে কাজ করা।’
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক আরো বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে ফিট হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে তা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি খুবই লজ্জার যদি আপনি ফিট না হন। রোহিতের এই বিষয়ে আরো কাজ করা উচিত।’
ফিটনেসের ক্ষেত্রে বিরাটের উদাহরণ টেনে কপিল আরো বলেন, ‘সে একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। কিন্তু আপনি যখন তাঁর ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন, তাঁর শরীরে অতিরিক্ত ওজন আছে মনে হয়। অন্তত টিভিতে তাই দেখায়। হ্যাঁ, টিভিতে এবং বাস্তাবে অনেক সময় ভিন্নরকম দেখায়। কিন্তু আমি যেটা মনে করি, রোহিত দারুণ ব্যাটসম্যান এবং দুর্দান্ত অধিনায়ক। বিরাটের দিকে দেখুন, আপনি বলে উঠবেন, “এই হলো ফিটনেস”।
প্রায় ১১ মাস পর টেস্ট দলে ফিরেছেন রোহিত। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আর সাদা পোষাকে মাঠে নামেননি রোহিত। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও খেলেননি আঙুলের ইনজুরিতে।