বছরের শেষভাগে উপমহাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের দুটো বড় ইভেন্ট। আগস্টে পাকিস্তানের মাটিতে হবার কথা এবারের এশিয়া কাপের আসর। আর এর পরপরই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩ তম আসর।
কিন্তু, ভারত-পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশ অনিশ্চয়তার রেখা একে দিয়েছে এই দুই আসরের ভাগ্যে। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না তারা। পাকিস্তানও ইতোমধ্যেই জানিয়েছে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে না এলে তারাও ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে অংশ নেবে না।
এ মাসেই অনুষ্ঠিত হবে আইসিস্যার সভা। সেই সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও আইসিসির বৈঠকে কঠোর অবস্থান নেবার ব্যাপারেই ভাবছে। আইসিসির সভায় অংশ নেবার জন্য ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন করেছে পিসিবি। পিসিবি সভাপতি নাজাম শেঠি, সিওও সালমান নাসের এবং আরেক কর্তা ফয়সাল হোসেন পাকিস্তানের কঠোর অবস্থানের কথা জানাবেন আইসিসিতে।
বিভিন্ন সূত্র মতে, ভারত যেহেতু পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে আসবে না তাই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যেতে যাচ্ছে পিসিবি। যদিও বিশ্বকাপ বয়কট করার মত অবস্থানে নেই পাকিস্তান, কিন্তু ভারতের মাটিতে ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রেও নতুন প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে তারা।
বিশ্বাকপের আগেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে না এ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। এই জয় শাহ আবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্ডিলের (এসিসি) সভাপতি। এসিসি সভাপতি হিসেবে জয় শাহ ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, ভারত যেহেতু পাকিস্তানে খেলতে যাবে না তাই এশিয়া কাপের ভেন্যু সরে যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
জয় শাহর এমন মন্তব্যে অবশ্য বেশ নাখোশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তারা। তাই জয় শাহর করা প্রস্তাবেই বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে ভারতের ওপর চাপাতে চায় পিসিবি। আইসিসির বৈঠকে বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে পাকিস্তান। যেহেতু ভারতীয় দল পাকিস্তানে আসতে অনাগ্রহী তাই ২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ গুলো আলাদা ভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের দাবি জানাবে পাকিস্তান।
ভারত পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব ক্রিকেটে পড়ার বিষয়টি নতুন নয়। প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ আছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। কিন্তু এখন যখন দুটি বড় আসর আয়োজনের দ্বারপ্রান্তে তখন সেই দ্বৈরথ পৌঁছেছে নতুন মাত্রায়।
তবে স্বয়ং পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও মনে করেন, ভারত এশিয়া কাপ খেলতে না আসলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে যেতে বাধ্য হবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ খেলতে না যাবার মত অবস্থানে যেতে পায়ের তলার মাটি আরো শক্ত হতে হবে পাকিস্তানের।