আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা

করোনা বিপর্যয়ে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলো ক্রিকেট। সব বাঁধা উপেক্ষা করে অক্টোবরে প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মুশফিক তামিমরা মাঠে ফিরলেও এখনো মাঠে ফেরার সুযোগ পাননি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। এমনকি অনুশীলন করারও সুযোগ মেলেনি তাদের। দীর্ঘ দিন ধরে অনুশীলনে ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে রুমানা সালমারা।

অবশেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের অপেক্ষার প্রহর খুব দ্রুতই শেষ হচ্ছে। শুরু হতে যাওয়া বছরের মার্চে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল। চলতি বছরের মার্চে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলো সালমা জাহানারারা।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুরুষদের পাশাপাশি কিছু নারী ক্রিকেটার ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করলেও ব্যাট বল হাতে মাঠে নামা হয়নি তাদের। দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকার কারণে প্রস্তুতি পর্ব একটু আগেই শুরু করবে বিসিবি। ৩ জানুয়ারি থেকে সিলেটে শুরু হবে জাহানারা খাতুনদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্প চলাকালীন জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর থাকবে সবাই। ক্যাম্পে অংশ নেবে ২৯ জন ক্রিকেটার।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছিলেন, ‘প্রায় ১১ মাস ধরে নারী দলের কেউ খেলার মধ্যে নেই। এজন্য একটু আগেই আমরা ওদের প্রস্তুতি শুরু করছি। যেন নিজেদের সময় মতো মানিয়ে নিতে পারে।’

অনেক দিন হলোই মেয়েদের ব্যাটিং কোচের আসনটি শূন্য। চূড়ান্তভাবে এখনো কোচ নিয়োগ দেয়নি বিসিবি। জানুয়ারিতে মেয়েদের বিদেশী কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিরেক্টর ও নারী উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

তবে জানুয়ারিতে কোচ নিয়োগ দিলেও কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় ক্যাম্পে থাকবেন না ব্যাটিং কোচ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ইংল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই কোয়ারেন্টিনের কারণেই ক্যাম্পের জন্য ডাকা হচ্ছে না ব্যাটিং কোচকে। আপাতত ব্যাটিং কোচ ছাড়াই ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা।

নাদেল বলেন, কোচের সঙ্গে যে কথাবার্তা চলছে, চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই আমরা এটা নিশ্চিত করবো। যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে ক্যাম্পে আসতে পারে। তবে পরিস্থিতি নির্ভর করছে সরকার যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কথা বলছে। কোচ যদি এসে কোয়ারেন্টিনে থাকে, তাহলে তো এনে লাভও নেই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে পুরুষদের অনুশীলনের পাশাপাশি বিসিবি সুযোগ করে দিয়েছিলো দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলার। প্রথমে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রেসিডেন্টস কাপ ও পরে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ খেলেছে মাহমুদউল্লাহ সাকিবরা। মেয়েদেরও এরকম সুযোগ করে দেওয়ার চেস্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শফিউল ইসলাম চৌধুরি নাদেল।

তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তায় আছে ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনেরও। যদি পরিস্থিতি ভালো হয়, সেগুলো করতে সময় লাগবে না। আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যেই রাখছি সব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link