জাতীয় দলের কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে আসার পরই দেশের ক্রিকেটের হাবভাবেই যেন বদলে গেছে। নতুন একটা সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে।
হাতুুরুসিংহে ফিল্ডিংয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর কথার সাথে তাল মিলিয়েছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।
এবার তারই প্রভাব দেখা গেল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্র্যাকটিস সেশনে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি মাঠে আলাদা করে বোলিং, ব্যাটিং প্র্যাকটিস শেষে মোহামেডান ক্লাবের খেলোয়াড়দের দেখা গেল ভিন্ন ধরনের ফিল্ডিং অনুশীলনে।
খেলোয়াড়রা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বল হাতে একজন আরেকজনকে পাস করে দিতে থাকেন। সকলের হাত ঘুরে বল মাটিতে না পরলেই মিলেছে স্ট্যাম্পে থ্রো করার সুযোগ। এবং শেষ পর্যন্ত যেই দল আগে থ্রো করে বল স্ট্যাম্পে লাগাতে পারলো, তারাই জয়ী। এক গ্রুপের দায়িত্বে ছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, অন্য গ্রুপে সৌম্য সরকার।
নতুন এই ফিল্ডিং ড্রিল খেলোয়াড়রা বেশ উপভোগ করেছেন বলেই মনে হয়েছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে দুষ্টুমি করার প্রবনতা যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনি সিরিয়াসনেসেরও কমতি ছিল না। কয়েক বারের ড্রিল শেষে বিজয়ী হয় সৌম্য সরকারের দল। সাথে সাথেই সৌম্য সরকার মোহামেডানের কোচের হাত থেকে সবার আগে পুরষ্কার নিয়ে নেন।
কয়েক বছর ধরেই শিরোপা শূন্য থাকা মোহামেডান এবারের আসরে তারকা নির্ভর দল সাজিয়েছে। এর আগে বেশ অনেক সময় নিয়ে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। শুরুতে তেমন স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না তিনি, অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বেশ কিছু বল মিসও করতে দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে আশরাফুলও ব্যাটিংয়ে সাবলীল হয়ে ওঠেন।
জাতীয় দলের খেলা থাকার কারণে পাওয়া যায় নি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা রনি তালুকদারদের। তবে সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোমরা প্রাকটিসে ছিলেন সিরিয়াস।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা সৌম্য সদ্যই খেলেছেন বিসিবি একাদশের হয়ে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরম্যান্স সৌম্যর হাতে পৌঁছে দিতে পারে আবারো জাতীয় দলের টিকেট। তাঁর জন্য অবশ্য হতে হবে ধারাবাহিক। আর তিনি যে কোচ হাতুরুসিংহের প্রিয় পাত্র – সেটা তো সবারই জানা।
অপরদিকে, দুই বছর ধরে বড় দল গড়েও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয় করতে পারেনি মোহামেডান। এখন দেখার বিষয়, সৌম্য এবং মোহামেডান একে অপরের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারেন কি না।